চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: জামুড়িয়াতেও এবার মোমোর থাবা৷ হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক ছাত্রী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি প্রতিনিধি দল৷
পরিবারের দাবি, গত দুদিন ধরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রী৷ মোবাইলটি কেড়ে নিলে ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে সে। নিজের বাবাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনেরও চেষ্টা করে কিশোরী৷ নিজের হাতের শিরা কেটেও আত্মহত্যা চেষ্টা করে৷ গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানায় ওই ছাত্রী৷ পুলিশ ছাত্রীর মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে। পাশাপাশি ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা থেকে সিআইডির বিশেষ দল পৌঁছায় জামুড়িয়ায়। আপাতত ওই ছাত্রী রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। সিআইডি আধিকারিকরা নার্সিংহোমেই জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে। যদিও সিআইডি আধিকারিক রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে মোমোর কোনও সংযোগ নেই।
অন্যদিকে, জামুড়িয়ার চিঁচুরিয়ার বাসিন্দা সায়ন পাত্র নামে এক যুবকের মোবাইল নম্বরে আসে মোমো মেসেজ৷ সায়ন জানান, দিনদুয়েক আগে মোমোর ছবি দেওয়া একটি প্রোফাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসে। ওই মেসেজে লেখা ছিল, হ্যালো আই অ্যাম মোমো। মেসেজে মোমো গেম খেলার জন্যও বলা হয় তাঁকে৷ সায়ন বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ মোমোর নাম নিয়ে মজা করছে। তাই কথা বলা শুরু করি। এরপর ওই নম্বর থেকে খুনের হুমকি আসে। এমনকি আমার নাম-ঠিকানা মোমো বলে দেওয়ায় ভয় পেয়ে যাই।’’ নম্বরটি পুলিশ পরীক্ষা করে৷ যে নম্বরটি থেকে মোমো-র মেসেজ এসেছিল, সেই নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছেন সায়ন৷
গত বুধবার জামুড়িয়ার পরাশিয়া কোলিয়ারিতে তনুশ্রী বাউরি নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মোবাইলেও মোমো মেসেজ আসে৷ এরপর ছাত্রীটি ওই নম্বরটি ব্লক করে দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে দেয়। জামুড়িয়াতে মোমোর তিনটি ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সিআইডি তিনটি ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.