শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পণের জন্য চাপ তো ছিলই, বিয়ের আগেই কন্যাসন্তান হলে তালাক দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছিল পাত্র। শেষপর্যন্ত আর মানসিক চাপটা নিতে পারলেন না ২১ বছরের তরুণী। বিয়ে পাকা হওয়ার মাত্র সাতদিনের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। পাত্র ও তাঁর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন মৃতার বাড়ির লোকে।
[কুশমণ্ডি ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নির্যাতিতার]
মৃতা রেজিনা বেগমের বাড়ি রাজগঞ্জের ঘোষপাড়ায়। বাবা কৃষক। রেজিনারা তিন বোন। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রেজিনা মেজ। মালবাজারের বাসিন্দা অজিত হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ করেছিল বাড়ির লোকেরা। দিন সাতেক আগে অজিত ও রেজিনার মুসলিম মতে রেজিস্ট্রি হয়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রির সময়ে দেড় লক্ষ টাকা পণ চেয়েছিলেন পাত্রের বাড়ির লোকেরা। সেই টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিল অজিতের বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, রেজিস্ট্রি হয়ে যাওয়ার পর, আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থাৎ পণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। রবিবার রেজিনার দিদির একটি কন্যাসন্তান হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।
[ট্রেনে আসন সংরক্ষণ করে ডাকাতি, অপারেশনের ছকবদলে তাজ্জব রেল পুলিশ]
রেজিনার বাড়ির লোকের দাবি, পাত্রপক্ষের ধারণা হয়েছিল, বিয়ের পর রেজিনারও কন্যাসন্তান হতে পারে। তাই ফোনে হবু বর অজিত রেজিনাকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন, কন্যাসন্তান হলে তালাক দেবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বছর একুশের ওই তরুণী। রাজগঞ্জ থানায় পাত্র অজিত হোসেন ও তাঁর পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন মৃতার বাড়ির লোকেরা।
[মদের টাকা দেয়নি বাবা-মা, গাদায় আগুন দিয়ে পাহারা যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.