প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীরভূম, মালদহের পর এবার শিশুচোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার সাক্ষী জলপাইগুড়ির ফালাকাটার খগেনহাট৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা৷ প্রহৃত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন ফালাকাটা থানার আইসি-সহ তিন পুলিশ আধিকারিক৷
শনিবার রাতে ফালাকাটা থানার পুলিশের কাছে খবর যায়, খগেনহাটে এক ব্যক্তিকে শিশুচোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে৷ তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ পুলিশ খগেনহাট এলাকায় গিয়ে দেখে, পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তিকে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে৷ চড়, লাথি, ঘুসি কিছুই বাদ যায়নি৷ সবই জুটছে ওই ব্যক্তির কপালে৷ এলাকারই এক ব্যক্তির ঘরের মধ্যে আটকে রেখেই ওই ব্যক্তির উপর এভাবে বেধড়ক মারধর চলে৷ পুলিশ পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে যায়৷ তাতে গণ্ডগোল আরও চরম আকার নেয়৷ ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে পুলিশকে ঘিরে ধরে খগেনহাটের স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ফালাকাটা থানার ওসিকে বেধড়ক মারধর করে তারা৷ জনরোষের মাঝে পড়ে জখম হতে হয় ফালাকাটা থানার আরও দুই পুলিশ আধিকারিককেও৷ পুলিশের গাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জয়গাঁও থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ ওই পুলিশবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার৷ বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
ফালাকাটা থানার আইসি-সহ জখম তিন পুলিশকর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়৷ বীরপাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁদের৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে জখম পুলিশকর্মীদের৷ মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট পেয়েছেন তাঁরা৷ পুলিশসূত্রে খবর, শিশুচোর সন্দেহে যাঁকে মারধর করা হয়েছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন৷ প্রহৃত ওই ব্যক্তিকেও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ তাঁরও আঘাত গুরুতর৷ আদৌ তিনি শিশুচুরির ঘটনায় জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.