Advertisement
Advertisement

প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ভাইয়ের কীর্তি আড়ালের চেষ্টা ‘প্রভাবশালী’ দাদার

অভিযুক্তদের আটকে রেখে বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে।

Jalpaiguri: man booked for rape allegation on pretext of marriage

ছবি:‌ প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 17, 2018 8:18 pm
  • Updated:August 16, 2019 2:02 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় ভাইয়ের কুকীর্তি আড়াল করতে সিভিক ভলান্টিয়ার দাদা আসরে নামায় রাতভর তাঁকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন যুবতীর বাড়ির লোকেরা। শুক্রবার রাতে ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বসুনিয়া পাড়া গ্রামে।

[পা ভেঙে রাস্তার পাশে, ৪ দিন পর চিকিৎসার সুযোগ পেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা]

Advertisement

জানা গিয়েছে, স্থানীয় যুবক কল্যাণ রায়ের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই যুবতীর। মাস ছয়-সাত ধরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্ত যুবক সহবাস করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির লোকেদের কিছু না জানিয়ে ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের কাছে ছুটে যান। দ্রুত ওই যুবতীকে নিয়ে প্রেমিক তাঁর মামার বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে, রাতে এই ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত যুবকের দাদা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার অর্জুন রায়ও মামার বাড়িতে ছুটে যান। অভিযোগ, জোর করে ওই যুবতীকে বাইকে তুলে নিয়ে যান সিভিক ভলান্টিয়ার অর্জুন রায়। ওই মোটর বাইকে ছিল তাঁর এক বন্ধুও ছিল। পথেই ওই যুবতী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে প্রধান পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধু যুবতীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। যুবতীর বাড়ির লোকেদের তাঁরা জানান, সম্ভবত যুবতী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাঁদের গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেই যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়ে এসেছেন।

[নদিয়ার এই গ্রামের বাসিন্দাদের কীর্তি জানলে আপনিও গর্বিত হবেন]

এই কথা শুনে যুবতীর বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির লোকেরা যুবতীর কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পেরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধুকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। দাদাকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে অভিযুক্ত প্রেমিকও ছুটে আসে। প্রেমিককেও আটকে রাখা হয়। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ রায় জানান, “যুবক ও যুবতী দু’জনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। দুই বাড়ির লোকেদের নিয়ে সালিশি সভা করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।” শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত এই বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ দায়ের করার পরই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement