শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বেঁচে থেকেও মৃত! স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগী জানতে পারলেন তিনি নাকি মৃত! বাধ্য হয়ে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে চিকিৎসা করাতে হয়েছে জলপাইগুড়ির সৌমিত্র বসাককে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল জলপাইগুড়িতে।
জলপাইগুড়ি শহরের লক্ষ্ণণ মৌলিক সরণীর বাসিন্দা বছর ৬৭-এর সৌমিত্র বসাক। সম্প্রতি তাঁর হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে তিনি অ্যাঞ্জিওগ্রাফ করতে বলেন। এর পরই সৌমিত্রবাবু ঠিক করেন কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। বাড়িতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড খোঁজ করেন, কিন্তু পাননি। এর পরই জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁদের পরামর্শ মতো সৌমিত্রবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার কপি জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে জমা দেন। এর পর তাঁকে নতুন কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। তা নিয়ে সৌমিত্রবাবু কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে যান। নতুন কার্ড জমা দেন। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কার্ড অনুযায়ী সৌমিত্রবাবু মৃত! তাই ওই কার্ডে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সৌমিত্রবাবুর।
জলপাইগুড়ি ফিরেই স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরের দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধ। তিনি জানান, নতুন কার্ডের জন্য তাঁর থেকে ৬০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। নতুন কার্ড হাতে দিয়ে বলা হয়, বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে। সেই কার্ডের জেরেই চূড়ান্ত ভোগান্তি। সৌমিত্রবাবু বলেন, “আমি নাজেহাল। ফের এই দপ্তরে এলাম। আমার অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। আমি বয়স্ক মানুষ। দপ্তরের গাফিলতির জন্য এই জাতীয় হয়রানির শিকার কেন হতে হবে? চিকিৎসার জন্য যা খরচ হয়েছে, তা ফেরত চাই।” জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস বলেন, তাঁরা সৌমিত্র বাবুর অভিযোগ পেয়েছেন। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.