Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই প্রার্থী, ঘরকন্না সামলাচ্ছেন আত্মীয়রাই

বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের পাশের আসনে প্রার্থী তাঁর স্ত্রী।

Jalpaiguri: Husband and wife both TMC Candidate in panchayet election
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 15, 2018 11:28 am
  • Updated:December 4, 2018 4:29 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি:  পঞ্চায়েত ভোটের কারণে ঘর-গেরস্থালি কার্যত শিকেয় উঠেছে জলপাইগুড়ি দাস দম্পতির। রান্নাবান্না থেকে ঘরের নিত্যদিনের কাজ সবই সামলাচ্ছেন আত্মীয়পরিজনরাই। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই যে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী! সাতসকালেই গ্রামে গ্রামে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন কৃষ্ণ দাস ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না।

[ভোটের বাজারে জোড়া লাগল পুরনো সম্পর্ক, স্বামীর ঘরে ফিরলেন স্ত্রী]

Advertisement

দুই মেয়ে, শাশুড়ি, চার দেওর নিয়ে যৌথ পরিবার। বাড়ির বড় ছেলে কৃষ্ণ দাস বরাবরই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জলপাইগুড়ির বরপেটিয়া নতুন বস গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তিনি। ঘরকন্নার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও যথারীতি শাসকদলের প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণবাবু। তবে এবার আর একা নন, ভোট-যুদ্ধে পাশে পেযেছেন স্ত্রী স্বপ্নাকেও। তিনিও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। স্বপ্না দাস বলেন,  ‘ভোটের দিন ঘোষণার পর স্বামীর মুখেই জানতে পারি ভোটে দাঁড়াতে হবে। আপত্তি তুললেও আত্মীয়রাই এগিয়ে এসে জানান, সব দায়িত্ব তাঁদের।‘  তাঁদের ভরসাতেই ভোটে লড়ছেন ছাপোষা এই গৃহবধূ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রঙধামালি গ্রামে থাকেন দাস দম্পতি। বরপেটিয়া নতুন বস গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/১৭৬ বুথে শাসকদলের প্রার্থী কৃষ্ণ দাস। স্ত্রী স্বপ্না দাঁড়িয়েছেন পাশের আসনে। স্বামী এলাকার পরিচিত রাজনৈতিক নেতা। বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু, ঘরকন্না দিয়েই ব্যস্ত তিনি। তাই বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী হলে কী হবে! রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা স্বপ্না দাস। কিছুটা অপ্রস্তুতও বটে। তবে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী স্বপ্না। তাঁর কথায়, ‘রাজনীতিতে নতুন হলেও এলাকাবাসী সবাই পরিচিত। প্রার্থী হিসাবে সেই মানুষগুলির কাছে পৌঁছতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।‘

[একই আসনে দুই সতীনের মনোনয়ন, বিপাকে স্বামী]

কর্তা-গিন্নি দু’জনেই প্রার্থী হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে রঙধামালির দাস পরিবার। ঘরকন্নার কাজ সামলাচ্ছেন আত্মীয়-পরিজনরাই। তবে তা অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই কৃষ্ণ দাসের। তাঁর সাফ কথা, ‘মানুষের কাজ করতে গেলে পরিবার সামান্য হলেও বঞ্চিত হবেই। তবে সব কিছুই মানিয়ে নিতে হবে।‘ কৃষ্ণবাবুর দাবি,  ‘মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দেবেন। গত পাঁচ বছরে এলাকায় যে কাজ হয়েছে, সেই নিরিখেই মানুষ ভোট দেবেন।‘

[না দেওয়া আসনে প্রার্থী খোঁজা শুরু করল বিরোধীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement