শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কৃষিজীবী মানুষ। সম্বল বলতে দু’বিঘা জমি। কিন্তু, সেই জমিটুকু লিখে দেওয়ার জন্য বড় ছেলে রীতিমতো অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। পরিবারিক বিবাদে মেটাতে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসেছিল। আতঙ্কে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। অভিযুক্ত বড় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। সে পলাতক।
[ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল প্রেমিকার, অপমানে আত্মঘাতী তরুণ]
ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুকশিয়া পার্কের বাসিন্দা সত্তর পেরোনো হরিপদ মণ্ডল। তাঁর দুই ছেলে। ছোট ছেলে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে থাকেন বড় ছেলে সুকুমার। স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, হরিপদবাবু পেশায় কৃষক। দুই বিঘা জমিতে চাষ আবাদ করে সংসার চালান তিনি। ওই জমির উপর নজর ছিল সুকুমারের। জমিটি লিখে দেওয়ার জন্য বাবার উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাত সে। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর জন্য বেশ কয়েকবার গ্রামে সালিশি সভা বসেছিল। কিন্তু, সালিশিসভায় ছেলেকে জমি লিখে দেওয়ার জন্য ওই বৃদ্ধের উপরই চাপ তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
বাবা-ছেলের বিবাদ মেটাতে ফের সালিশি সভার বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হরিপদ মণ্ডল। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বুধবার ভোরে মারা যান হরিপদবাবু। এদিকে বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন ছোট ছেলে রামপ্রসাদ। হাসপাতালেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অভিযুক্ত সুকুমার মণ্ডলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়েছে সে।
[তারাপীঠ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পূণ্যার্থীদের বাস, জখম ২০]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.