অরূপ বসাক, মালবাজার: নদী পেরিয়ে, পায়ে হেঁটে শনিবার দিনভর প্রান্তিক মানুষদের অভাব-অভিযোগ শুনলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি। আশ্বাস দিলেন সমস্যা সমাধানের। জেলাশাসক-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসীরা।
শনিবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি। সঙ্গে ছিলেন মাল মহকুমার শাসক বিবেক কুমার, বিডিও বিমানচন্দ্র দাস, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সেলিনা ছেত্রী-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে তাঁরা যান এলেনবাড়ি চা বাগানে। কথা বলেন শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন, আশ্বাস দেন সমাধানের। এরপর রুংডুং নদী পেরিয়ে যান হাজির হন সুন্দরী বস্তিতে। সেখানে নদী বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, নদী বাঁধের সমস্যা, রেশনে চাল, আটা ঠিক মতো পাওয়া যায় কি না, রাস্তাঘাট, পানীয়জল, স্কুলের পঠন-পাঠন ঠিক মতো হয় কি না, এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নেন তাঁরা।
জেলাশাসক ও অন্যান্যদের সামনে পেয়ে স্থানীয়রা হাতির উপদ্রব, বেহাল রাস্তা, পানীয়জলের সমস্যা, বার্ধক্যভাতা-সহ একাধিক সমস্যার কথা জানান স্থানীয়রা। বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের কথায়, সামান্য একটি সার্টিফিকেটের জন্য একাধিকবার পঞ্চায়েতে ঘুরতে হয়। সরকারি আধিকারিকরা সঠিক সময় অফিসে গেলেও প্রধানের দেখা পাওয়া খুব মুশকিল। সমস্ত অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন ডিএম। এদিন সারাদিনের পরিদর্শন শেষে জেলাশাসক বলেন, “মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনলাম। সমাধানের চেষ্টা করব।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্দেশেই জেলাশাসকের নেতৃত্বে আমরা এই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। জানা গিয়েছে, রবিবারও এরকম জনসংযোগ যাত্রা করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.