আদালত চত্বরে সাজাপ্রাপ্ত যুবক। নিজস্ব চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: প্রতিবেশী যুবকের লালসার শিকার একরত্তি। সাড়ে চার বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল প্রতিবেশী এক যুবক। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি আদালত। বিচারক দোষীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন। এই রায়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ওই শিশুর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসের। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকায় ওই শিশুর বাড়ি। ওই এলাকাতেই বাড়ি বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি। দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় সে ওই বাড়িতেও যাতায়াত করত। ওই দিন চকোলেট কিনে দেওয়ার নাম করে ওই যুবক একরত্তিকে নিয়ে বেরিয়েছিল। ফাঁকা এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই শিশুর উপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। পরে ওই শিশুকে বাড়িতেও পৌঁছে দেয় সে।
বাড়ি ফেরার পর যন্ত্রনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই একরত্তি। বাবা-মায়ের সন্দেহ হলে তাঁরা মেয়ের থেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। তারপরই ঘটনার কথা জানা যায়। কুকীর্তি ধরা পড়ে যায় ওই যুবকের। কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। দ্রুত তদন্তে নেমে পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবককে গ্রেপ্তার করে। পকসো ধারায় শুরু হয় মামলা। জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতে চলে শুনানি। মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য ও প্রমাণ দাখিল হয়। সেই ভিত্তিতেই আজ শনিবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনালেন বিচারক।
দোষী ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ শোনাল আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে শিশুর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা সাহায্য করার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন এই কথা জানিয়েছেন, পকসো আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.