Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রেন থেকে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন যুবক, মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত সহযাত্রীরা

বেঘোরে মৃত্যু ভিন রাজ্যের যুবকের।

Jalpaiguri apathy: Youth bleeds to death on train tracks
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 25, 2018 5:12 pm
  • Updated:July 25, 2018 5:12 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ট্রেন থেকে পড়ে হাত ও পা কাটা গিয়েছে এক যাত্রীর। লাইনে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। স্টেশনে তখন ভরতি লোক। কিন্তু, আহত মানুষটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন না কেউ। অথচ মোবাইলে ফটাফট ছবি উঠছে! কেউ কেউ আবার ফেসবুকে লাইভও করছেন। ঘণ্টা দুয়েক বাদে আহত যাত্রীটি যখন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মারা যান তিনি। চরম অমানবিকতার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রানিনগর স্টেশনে।

[ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল প্রেমিকার, অপমানে আত্মঘাতী তরুণ]

Advertisement

মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ হাসিমুদ্দিন। বাড়ি অসমে। পড়শি রাজ্যের বঙ্গাইগাঁও থেকে এনজেপিগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রী ছিলেন হাসিমুদ্দিন। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রেন যখন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রানিনগর স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছয়, তখন ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। হাতা কাটা পড়ে বছর ৩৭-এর ওই যুবকের। তবে তখনও দেহে প্রাণ ছিল তাঁর। কিন্তু চোখের সামনে হাসিমুদ্দিনকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখেও কেউই এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। সকলেই মোবাইলে তাঁর ছবি তুলে ব্যস্ত ছিলেন। কেউ কেউ আবার মর্মান্তিক দৃশ্যটি ফেসবুকে লাইভও করছিলেন। এভাবেই কেটে যায় প্রায় দু’ঘন্টা। শেষপর্যন্ত মরণাপন্ন হাসিমুদ্দিনকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে যান এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মারা যান মহম্মদ হাসিমুদ্দিন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য প্রশান্ত সরকার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছিলাম, রানিনগর স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে পড়ে এক যাত্রীর হাত-পা কাটা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁকে কেউ উদ্ধার করছে না। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আমরা আহত ব্যক্তিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’  এখন পুলিশের সাহায্যে অসমে হাসিমুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

তখনও বেঁচে।

স্মার্টফোনের যুগে এখন গোটা দুনিয়াটাই কার্যত হাতের মুঠোয়। যখন খুশি, যেখানে খুশি ছবি তোলা যায়। ভিডিও করা যায়। এমনকী, আপনি যদি চান, ফেসবুকে কোনও ঘটনা বা মুহূর্ত আপনার বন্ধু বা পরিচিতদের লাইভ দেখাতেও পারেন। কিন্তু, প্রযুক্তির এই দুর্বার গতি কী হারিয়ে দিচ্ছে মানবিকতাকেও? জলপাইগুড়ির ঘটনা দেখে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

[ মোবাইলে গেমের লোভ দেখিয়ে শিশুকে যৌন নির্যাতন গৃহশিক্ষকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement