Advertisement
Advertisement

দিনে পড়াশোনা, রাত নামলেই সরকারি স্কুলে রমরমিয়ে মধুচক্রের আসর

পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি, দাবি প্রধান শিক্ষকের।

Jalpaiguri: Anti-social allegedly run sex trade in a school
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 15, 2018 8:47 pm
  • Updated:August 19, 2019 5:58 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: সকালে পড়ুয়াদের ভিড়ে সরগরম জুনিয়র বেসিক  স্কুল। কিন্তু, রাত নামলেই ছবিটা পালটে যায়। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে স্কুলে মদের আসর বসায় সমাজবিরোধীরা। চলে মধুচক্রও। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুলের মধুচক্র চলার বিষয়টি অস্বীকার করেননি প্রধানশিক্ষকও। তিনি জানিয়েছেন, ‘রোজ সকালে স্কুলে এসে দেখি, মদের বোতল পড়ে রয়েছে। বুধবার রাতে স্কুলের অফিস ঘর ও বাথরুমের তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। আমার ঘরের তালা ভাঙারও চেষ্টা হয়েছিল।’ স্কুলের সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক।

[দলে আরও কোণঠাসা? পঞ্চায়েত ভোটে শোভনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি]

Advertisement

জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার ছোট্ট শহর চালসা। শহরে একটিই মাত্র স্কুল। পড়ুয়া ১০৫ জন। ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গেই পড়াশোনা করে চালসা জুনিয়র স্কুলে। দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় স্কুল চলছে। স্কুলের কোনও পাঁচিল নেই। সকালে পঠনপাঠন চলে। বিকেলে স্কুলের ঘরগুলি তালাবন্ধ করে চলে যান শিক্ষকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে চাইলে যে কেউ তালা ভেঙে স্কুলে ভিতরে ঢুকে পড়তে পারেন। ঠিক এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে এলাকার সমাজবিরোধীরা। স্কুলের আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে স্কুলে মদের আসর বসায় সমাজবিরোধীরা। চলে মধুচক্রও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতে স্কুলে মহিলাদের গলার আওয়াজও পেয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বে স্কুলে এই অনাচার বন্ধ করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

[চাপে পড়েই মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন চামলিং]

বুধবার রাতেও চালসা জুনিয়র স্কুলে তাণ্ডব  চালিয়েছে সমাজ বিরোধীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন,‘বুধবার রাতে স্কুলের অফিস ঘর ও বাথরুমের তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। আমার ঘরের তালাও ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল।’ তাঁর বক্তব্য, রোজ সকালে স্কুলে এসে দেখেন, যেখানে সেখানে মদের বোতল পড়ে রয়েছে। এমনকী, স্কুলে মধুচক্র চলাও যে অসম্ভব নয়, তাও মেনে নিয়েছেন চালসা জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি বহুবার পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। চালসা গ্রামীণ শিক্ষা কমিটির প্রধান আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘প্রধানশিক্ষক আমায় সবই জানিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি। রাতে স্কুলে পুলিশকে টহল দেওয়ার অনুরোধ করব।’

[রাতে দরজা খুলতেই উঠোনে দাঁড়িয়ে বাঘ…]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement