শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ব্লু হোয়েল ছিল নীল তিমির খেলা। মোমো এক বিকৃত মুখের যুবতী। তার চাইতেও আরও একধাপ এগিয়ে এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া ভূতুড়ে বৃদ্ধা গ্র্যানি। যার চক্করে পড়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ময়নাগুড়ির দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতির বাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের। ছেলে ছোকরাদের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে ভূতুড়ে বৃদ্ধা। কৌতুহলবশত গ্র্যানির ছবি দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন ছাত্র। পুলিশের দারস্থ হয়েছেন তাদের পরিবারের লোকজন। ভূতুড়ে বৃদ্ধাকে নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছে পুলিশ। ভূত তাড়াতে তাই এবার সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন তারা।
হাতির বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার রায় নামে এক স্কুল ছাত্র বলে, ‘‘ব্লু হোয়েল, মোমো নিয়ে রীতিমতো সতর্ক ছিলাম। গত মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি লিঙ্ক আসে। ক্লিক করতেই ভেসে ওঠে ভূতুড়ে এক বৃদ্ধার মুখ। এরপরই নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল। আবার নিজে থেকে অন হয়ে ভৌতিক সব কাণ্ড কারখানা শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও চলে আসে।’’ ভূতুড়ে বৃদ্ধার হাত থেকে রেহাই পেতে নিজের মোবাইল ফোনও আছড়ে ভেঙে ফেলে সুকুমার। প্রায় একই অভিজ্ঞতা হয়েছে হাতির বাড়ির গ্রামের যুবক শিবু লোহারেরও। হোয়াইস অ্যাপে অন করে গ্র্যানি লিঙ্ক দেখে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শিবুর মা দুলু লোহার জানান, ভয়ে ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে তাঁর ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ রায় জানান, অনেকেরই মোবাইলে গ্র্যানি গেমের লিঙ্ক এসেছে। কে পাঠাচ্ছে? কেনই বা পাঠাচ্ছে? কিছুই বোঝা যাচ্ছে না ।
গ্র্যানি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের দ্বারস্থ ময়নাগুড়ির হাতির বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা৷ ময়নাগুড়ি থানার আইসি নন্দ কুমার দত্ত বলেন, হাতির বাড়ি গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। কারা এই ভূতুড়ে লিংক ছড়াচ্ছে? তা জানতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। অনলাইনে এই মারণ খেলা সম্পর্কে সচেতন করতে স্কুল কলেজে প্রচার অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.