শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লাইভ চ্যাটে আত্মহত্যা নয়, বরং বাঁচতেই চেয়েছিলেন কলেজ পড়ুয়া ছেলেটি। বিষ খাওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে বাঁচানোর কাতর আর্তি জানিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। উত্তর এসেছিল, ‘তুই মরে যা।’ চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না ওই তরুণকে। প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। ওই তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে।
[ দু’বছর পর বাড়ি ফিরল পাচার হওয়া কিশোরী, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ]
জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা সৌপ্তিক মণ্ডল। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এলাকারই এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সৌপ্তিকের। তাঁদের প্রেম বহুদিনের। সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙে যায়। সৌপ্তিকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে ওই তরুণীর। মানসিক আঘাত সহ্য হচ্ছিল না সদ্য কলেজে ভরতি হওয়া ওই তরুণের। বাড়ির লোকের দাবি, ৬ জুলাই বাড়ি বসেই প্রেমিকাকে হোয়াটসঅ্যাপে সৌপ্তিক জানিয়েছিলেন, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু তাতেও মন গলেনি ওই তরুণীর। এরপর সত্যি সত্যি বিষ খান তিনি। বিষ খাওয়ার ছবি হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমিকাকে পাঠিয়ে দেন। সঙ্গে করুণ আর্তি, ‘আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাও।’ কিন্তু, ওই তরুণীকে প্রেমিককে বাঁচানো চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ। উলটে মেসেজ করেন, ‘তুই মরে যা।’ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভরতি করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত চিকিৎসার জন্য সৌপ্তিক মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। শেষরক্ষা হয়নি। ১৬ জুলাই দিল্লির হাসপাতালে মারা যান সৌপ্তিক। ঘটনার শোকের ছায়া জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়ায়।
ছেলের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না সৌপ্তিকের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন প্রেমিকা। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
[ গাছ কেটে ফ্লাইওভার, কাঁঠালের বীজ ছড়িয়ে অভিনব প্রতিবাদ পরিবেশপ্রেমীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.