শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: একেই বলে সর্ষের মধ্যে ভূত। জেলের ভিতরে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে বমাল গ্রেপ্তার কারারক্ষী। ধৃতের নাম নিমাই দেব। ধৃতের কাছ থেকে ৭২ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষই ওই কারারক্ষীকে হাতেনাতে ধরে কোতয়ালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দিলেন। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় কারাগারে।
জানা গিয়েছে, ধৃত কারারক্ষীর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এলাকায়। কয়েক বছর আগে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলে বদলি হয়ে আসে সে। এদিকে জেলার কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক পাচারের অভিযোগ উঠলেও তাতে কর্মীদের জড়িত থাকার ঘটনায় বিস্মিত জেলকর্তারা। এতবড় বেআইনি ঘটনায় সরাসরি কর্মীদের যোগসূত্রের প্রমাণ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার হয়। সেই সময় গাঁজার সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল ৩০টি মোবাইল ফোনও। ফোন উদ্ধারের পর কারাকর্মীদের দিকে সন্দেহের তির গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেননা কর্তৃপক্ষের হাতে কোনও উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছিল না, যা দেখে মনে হতে পারে গোটা ঘটনায় জেলকর্মীরাই জড়িত। তবে এদিনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সর্ষের মধ্যেই ভূত বসবাস করছে।
[এবার এসএমএসে বজ্রপাতের আগাম খবর নবান্ন থেকে জেলায়]
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার রাজীব রঞ্জন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের গাঁজা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই তাঁরা সতর্ক ছিলেন। নিয়মিত নজরদারি চলছিল। তারপরেও গোপনে মাদক ও মোবাইল ফোন যে বন্দিদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তার খবর ছিল। সত্যতা যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার আচমকা স্পেশাল চেকিং শুরু করেন তাঁরা। জেলের প্রতিটা সেল, বন্দি এবং রক্ষীকে আলাদা আলাদা করে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চলে। সেই সময় নিজেকে আড়াল করতে অফিস ঘরে ঢুকে যায় নিমাই দেব। এতেই সন্দেহ বাড়ে। সঙ্গেসঙ্গে ওই কারারক্ষীকে ঘরের ভিতরে আটক করে তল্লাশি শুরু হয়। পকেটে হাত দিতেই বিপত্তি। ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ে মোবাইল, ব্যাটারি, চার্জার। এরপর রক্ষীকে জুতো খুলিয়ে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ৭২ প্যাকেট গাঁজা। যার ওজন ২৫০ গ্রাম। নিমাই দেবনাথকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হবে।
[এক কোপেই বাজিমাত, ১৩ বছর বয়স থেকেই বলি দিতে ওস্তাদ শান্তি কসাই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.