শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দু’জনকে বিবস্ত্র করে মার। আরও দু’জনকে ক্লাবঘরে আটকে রেখে নির্যাতন। ছেলেধরা সন্দেহে ধূপগুড়িতে চারজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ আক্রান্তদের উদ্ধার করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। আক্রান্তরা সকলেই ধূপগুড়ির বাসিন্দা।
[ জলপাইগুড়িতে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাকে গণপিটুনি, অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী]
ছেলেধরা সন্দেহে ফের গণপিটুনি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। এবার ডাউকিমারি গ্রামে জনরোষের মুখে চারজন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত সকলেই ধূপগুড়িরই বাসিন্দা। গীতা দাস ও মমতা বর্মনের বাড়ি হাসপাতাল পাড়ায়। সারথী সাহানী থাকেন স্টেশন মোড়ে। আর ধূপগুড়ি শহরের শিলিগুড়ি কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা পায়েল দাস। কেউ গিয়েছিলেন ডাউকিমারি গ্রামে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা অফিসে, কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে। একজন তো বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাপড় বিক্রি করেন। ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে রেয়াত করলেন না ডাউকিমারি গ্রামের বাসিন্দারা। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে ডাউকিমারি গ্রামে দু’জন মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাকি দু’জনকে ক্লাব ঘরে আটকে রেখে চলে নির্যাতন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। কিন্তু, আক্রান্ত উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকর্মীদের বাধা দেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, লাঠিচার্জ করতে হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা দিয়েছে।
গত সোমবার ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক ভবঘুরে মহিলাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সকাল থেকে এলাকায় ঘুরছিলেন ওই মহিলা। তাঁর কাছে চকোলেটও পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় আবার নাম জড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী তারাময়ী রায়ের। তিনি পলাতক। ৫ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[ পণের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.