অরূপ বসাক, মালবাজার: দোকান থেকে চুরি গিয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। মালিকের সন্দেহ, এলাকারই দুই নাবালক টাকা চুরি করেছে। তাই আর থানায় অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। বরং নিজেই ওই দুই নাবালককে পিঠমোড়া করে বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়েছে বলে অভিযোগ। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারের ওদলাবাড়িতে। গুরতর অসুস্থ ওই দুই নাবালককে ভরতি করা হয় মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা। এদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক সালিব ওঁরাওয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত দুই কিশোরের পরিবার।
[উলটপুরাণ, সোনার অলঙ্কার ফিরিয়ে দিল চোর!]
জলপাইগুড়ির মালবাজার ব্লকের একটি ছোট্ট শহর ওদলাবাড়ি। ওদলাবাড়ির বাবুজোত গ্রামে বাড়িতেই একটি পানের দোকান চালান স্থানীয় বাসিন্দা সালিব ওঁরাও। দোকানে নিত্য যাতায়াত ছিল গ্রামের সকলেরই। সালিবের পানের দোকানে আসত কপিল ও অবিনাশ নামে এলাকার দুই নাবালকও। কপিলের বয়স চার। তার থেকে একটু বড় বছর বারোর অবিনাশ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দিন দুয়েক আগে সালিবের পানের দোকান চুরি হয়। খোয়া যায় মাত্র একশো টাকা। কিন্তু, তা নিয়েই হইচই পড়ে যায় গ্রামে। সালিব ও তাঁর পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়, কপিল ও অবিনাশই দোকান থেকে টাকা চুরি করেছে। ওই দুজনের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে কপিল ও অবিনাশকে পিঠমোড়া করে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন সালিব ও তার বাবা। এমনকী, টাকা আদায় করার জন্য তাদের ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয়। ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে দুজনই। তাঁদের মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনার কবলে সাফারি কার, গরুমারায় উত্তেজনা]
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে অবিনাশ ও কপিল। দোকান মালিক সালিব ওরাঁও-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তদের পরিবার। এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সালিব। তবে চোর সন্দেহে দুই নাবালককে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সালিবের মা। তাঁর দাবি, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়নি। ওদের চড় মেরেছিল সালিব।
[ক্রেতা ভেবে পুলিশকেই ফোন! জালে নারী পাচারকারী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.