শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! অসুস্থতার অজুহাতে জেল থেকে হাসপাতালে এসেছিল বন্দি। রবিবার সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে বাথরুমের জানলা ভেঙে পাইপ বেয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ছ’তলা থেকে চম্পট দিল বিচারাধীন বন্দি। আপাতত তার খোঁজে হন্য উত্তর দিনাজপুরের জেলা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পলাতক বন্দির হদিশ পেতে চাইছে তারা।
ফেরার যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস (২৪)। মাদকাসক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ডাকাতির উদ্দেশে বিন্দল এলাকায় জড়ো হয়েছিল ১২ জন। তাদের মধ্যে ছিল বিশ্বজিৎও। পুলিশ খবর পেয়ে বিশ্বজিৎ-সহ মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হয়েছিল। জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বজিতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। সন্ধের দিকে তাকে উত্তর দিনাজপুর জেলা সংশোধনাগারে আনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
জেল সুপার রাজেশকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, শনিবার আদালত ওকে জেলে পাঠায়। আসার পরই মাথা ঘুরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর ওকে আর সংশোধনাগারে রাখা হয়নি। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ৬ তলায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের বন্দিদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পিঠচান দেয় বিশ্বজিৎ। পালানোর কায়দা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাথরুমে ঢুকে জানলার কাঁচ খুলে বাইরে বেরিয়ে যায় সে। এরপর শৌচাগারের পাইপ বেয়ে ছ’তলা থেকে নেমে এসে চম্পট দেয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল ও পুলিশর নজরদারি নিয়ে। একজন বিচারাধীন বন্দি পাইপ বেয়ে একতলায় নেমে এল অথচ হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের চোখে পড়ল না? উঠছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় জানিয়েছেন, “সবেমাত্র খবর পেলাম। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পলাতক বন্দিকে চিহ্নিত করা যাবে। পুলিশকে খবর দিয়েছি।” বন্দির হদিশ পেতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.