কিংশুক প্রামাণিক, দিঘা: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে দিঘাকে তিনি পুরীর মতোই জগন্নাথতীর্থ হিসাবে তুলে ধরতে চান। ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝে সমুদ্রের ধারে একটি জগন্নাথ মন্দির আছে। এই এলাকাকে জগন্নাথ ঘাট বলা হয়। মন্দিরটি অবশ্য ছোট। এখানে একই সঙ্গে গঙ্গার পুজো হয়। রয়েছে কালীমূর্তিও। লোকনাথের মূর্তি আছে। এই মন্দিরই পুরীর মন্দিরের মতো করে তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার।
[ বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের স্থায়ী সমাধান, অযোধ্যা পাহাড়ে তৈরি হবে পাম্পিং স্টেশন]
বৃহস্পতিবার দিঘায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর এই অভিনব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পুরীর মতো অত বড় না হলেও নতুন করে জগন্নাথ মন্দিরটি রাজ্য সরকার গড়বে। ভবিষ্যতে দিঘাও হয়ে উঠবে জগন্নাথদেবের আর এক তীর্থক্ষেত্র।” কত খরচ হবে, কত দিন লাগবে ইত্যাদি বিষয় দেখে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও জেলাশাসককে অবিলম্বে মন্দিরের ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেন মমতা। এর আগেও সরকারি উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থানগুলির সংস্কার হয়েছে। এক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতিতে কাজ করবে সরকার। বাঙালিদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা পুরী। সমুদ্রসৈকতের সঙ্গে প্রভু জগন্নাথের দর্শন পুরীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। দিঘার সৈকত কম সুন্দর নয়। এবার তাতে যুক্ত হবে প্রভু জগন্নাথদেবের মন্দির। সেই অর্থে আগামী দিনে দিঘার আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে।
এমন একটি দিনে জগন্নাথ মন্দির গড়ার সিদ্ধান্ত মমতা নিলেন যেদিন হাই কোর্টের রায়ে স্থগিত হয়ে গেল বিজেপির রথযাত্রা। হিন্দুত্বের ইস্যুতে মমতা রোজই বিজেপিকে আক্রমণ করছেন। তাঁর সাফ কথা, “রামায়ণ-মহাভারতের যুগে বিজেপি কোথায় ছিল? স্বাধীনতার আগেও ছিল না। তাহলে হিন্দুত্বের ঠিকা তাদের কে দিল?” বিজেপিও এ রাজ্যে সংখ্যালঘু-তোষণ হচ্ছে বলে মমতার বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে। ঠিক এই সময়ে দিঘার সৈকতে জগন্নাথ মন্দির গড়ার সিদ্ধান্ত মমতার দুর্দান্ত উদ্যোগ বলে রাজনৈতিকমহলের ধারণা। দূষণের হাত থেকে দিঘাতে বাঁচাতে একটি মাস্টারপ্ল্যানেরও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ লালগড়ে মৃত রয়্যাল বেঙ্গলের ‘পৈতৃক’ ভিটের সন্ধান পেল বনদপ্তর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.