ছবি - প্রতীকী
নির্মল ঘোষ, চন্দননগর: অষ্টমীর সন্ধ্যা, হোক না জগদ্ধাত্রী পুজো।চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী দুর্গোৎসবের থেকে কোনও অংশে কম যায় না।স্বাভাবিকভাবেই বিকেল গড়াতেই জনজোয়ার আলোর শহরে। লাখো পায়ের শেষ ঠিকানা সাবেক দিনেমার ডাঙায়। শাস্ত্রমতে এবার দু’দিন অষ্টমী। আজও তাই অষ্টমী। পুজো কমিটিগুলির ব্যস্ততা আজ যেমন সবচেয়ে বেশি। তেমনই সাধারণ মানুষেরও প্রতিমা দর্শনের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তাই বিকেল থেকেই চন্দননগর স্টেশনে ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখতে গলদঘর্ম অবস্থা পুলিশের। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের সমস্ত ট্রেনে আজ পা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
কিন্তু কিসের এত আকর্ষণ? কী দেখতে আসেন দর্শকরা? আলো না প্রতিমা? নাকি মণ্ডপসজ্জা। এককথায় তিনটেই। আলো-প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জার এক অপরূপ মিশেল এই জগদ্ধাত্রী পুজো উৎসব, হ্যাঁ উৎসবই। চন্দননগরের মানুষ যে উৎসবের জন্য সারাবছরই মুখিয়ে থাকেন। ধন্যবাদ জানাতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। প্রতিবছরই পুজোর সময় এই শহরাঞ্চলের দখলদারি কার্যত চলে যায় অন্য এলাকার মানুষের হাতে। কিন্তু সবই হাসিমুখে স্বীকার করে নেন এখানকার বাসিন্দারা।
আসলে চন্দননগর মানেই আলোয় ভেসে যাওয়া। অদ্ভুত সব আলাকসজ্জা। প্রতিবছরই হয় এই আলো। এবারও কোথাও আইফেল টাওয়ার, কোথাও কিংকং, টারজান, কোথাও হিম্যান, কোথাও গোরিলা, অদ্ভুত সব দৃশ্য ফুটে উঠেছে বাহারি এলইডিতে। এছাড়া অধিকাংশ বারোয়ারিতেই দেখা মিলবে বাংলার সংস্কৃতির। শিব-দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পাশাপাশি ফুল, ফল, গাছপালা, মাছ, ডলফিন সবই আলোর মালায় সেজেছে।। অনবদ্য আলোক সজ্জায় ফুটে উঠছে চারদিক। সঙ্গে আবার শব্দও। গা-ছমছমে ভৌতিক পরিবেশেরও দেখা মিলবে। বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিটি বারোয়ারিই আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে নিজস্বতা বজায় রেখে করেছে। এ জন্যই লাখো লোক ছুটে আসেন চন্দননগরে। তাই হয়তো কোনও একদিন বাংলা অভিধানে লেখা হবে ‘নানা আলোর সমাহার’ মানে চন্দননগর। এছাড়া আছে প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা, সবই দেখার মতো। থিমের বাহারে চমক থাকলেও এবার নারীশক্তির উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। নারীরাই যে সমাজের মূল চালিকাশক্তি তা আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটি।
[রসগোল্লার কলিঙ্গ জয়ের বর্ষপূর্তি, কোনপথে জয়যাত্রা শুরু গোলাকার মিষ্টান্নর?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.