বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja) মানেই চন্দননগরের আকর্ষণ। কী মণ্ডপ, কী প্রতিমা, কী আলোকসজ্জা – সবেতেই চমক লাগিয়ে দেয় প্রতি বছর। কিছুতেই তা যেন পুরনো হয় না। যতবার দেখা যায়, ততই মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখতে হয়। কিন্তু হুগলির পাশাপাশি নদিয়া (Nadia) জেলাও জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠে। আর এ বছর প্রতিমায় তাক লাগিয়ে দেবে চন্দননগর (Chandannagar)নয়, নদিয়ারই কৃষ্ণনগর। এখানকার একটি ক্লাব সবচেয়ে বড় প্রতিমা তৈরি করছে বলে দাবি। ৬০ ফুটের একটি গাছের কাঠামো বরাবর তৈরি হয়েছে প্রতিমা। চলছে শেষ মুহূর্তের সামান্য কাজ। ক্লাব সদস্যদের দাবি, নতুন চমক দেওয়ার আশায় এই নির্মাণ।
কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) রাধানগরের ক্লাব প্রতিভা। এবছর তাদের পুজো ৪৩ বছরে পা রাখল। জগদ্ধাত্রী পুজোর বাজেট মোট ১৩ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে সাত লক্ষ টাকা প্রতিমা নির্মাণেই খরচ হয়েছে তাদের। বলা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি কদমগাছ নিয়ে আসা হয়েছিল প্রতিমা তৈরির জন্য। সেই কাঠামো ধরেই তা গত ২ মাস নির্মাণ করা হয়েছে। শিল্পী রমেশ পালের তত্বাবধানে প্রতিমার অবয়ব দিয়েছেন ২০ জন শিল্পী। প্রতিমাকে সাজানোর শেষ কাজ চলছে।
চন্দননগরের মতো জৌলুস না হলেও মাটির পুতুলের জন্য বিখ্যাত নদিয়া জেলায় দেড়শোরও বেশি ছোট-বড় পুজো হয়। তার মধ্যে বেশ কিছু পুজোর বেশ খ্যাতিও রয়েছে। একদিনেই এখানে তিন-চারদিনের পুজো একসঙ্গে হয়। কিন্তু ওই একটি দিনই দুর্গাপুজোর মতো আনন্দে মেতে ওঠেন নদিয়াবাসী। ক্লাব প্রতিভার নাম সেভাবে শোনা না গেলেও এবছর তারা সকলকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। ক্লাবের সেক্রেটারি প্রসেনজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, ”এবছর নতুন কিছু করে দর্শনার্থীদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেই কারণে দীর্ঘতম প্রতিমা তৈরির পরিকল্পনা। দেখা যাক, আমাদের কাজ সকলের কতটা ভাল লাগে।”
বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও আজ থেকেই কৃষ্ণনগরের সমস্ত মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত প্রতিমার সাজসজ্জা শেষ না হওয়ায় ক্লাব প্রতিভার দরজা অবশ্য এখনও বন্ধ। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, একেবারে পুজোর দিন মণ্ডপ খুলেই চমকে দেওয়া যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.