ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হলে বাড়বে বিপদ। এই মর্মে রাজ্যকে নতুন করে বিবেচনার আরজি জানাল শিক্ষা মহল।
করোনার জেরে স্থগিত রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক -এর বাকিপরীক্ষা। কিন্তু প্রতিদিনই যে হারে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে প্রমাদ গুনছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ারা স্কুলে গেলে আরও বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই রাজ্যকে বিবেচনা করার আরজি জানাল শিক্ষা মহল। মঙ্গলবার সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষামন্ত্রীকে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয়। শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ-র (BGTA) বক্তব্য, “এখন কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। শিক্ষাবর্ষ অন্তত তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক।” বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির মতে, আইসিএসই বোর্ডের মতই পড়ুয়াদের উপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হোক। ঐচ্ছিক করে দেওয়া হোক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাতে কেউ চাইলে পরীক্ষা দেবে আবার কেউ না চাইলে দেবে না।
করোনা আবহে রাজ্যের অগনিত স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছে। তার একটি বড় অংশেই আগামী মাসে বকেয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়। ফলে একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে পরীক্ষা না দিলে পরীক্ষার্থীদের এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার ভয়। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে আতঙ্কে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ যে, পরিবর্তিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে অন্তত তিন ফুট। এই প্রসঙ্গে বিজিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্যের কথায়, “পরীক্ষাকেন্দ্রে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ মানা বাস্তবসম্মত নয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি বেঞ্চের মধ্যে তফাৎ দুই ইঞ্চিও থাকে না। এই অবস্থায় পরীক্ষা নিলে ছাত্রছাত্রীদের বিপদ বাড়বে।”
উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার জন্য যথাক্রমে ২, ৬ ও ৮ জুলাই ঘোষণা করা হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু এদিন শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, “৩১ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। সংক্রমণ বাড়ছে, এই অবস্থায় কোন যুক্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের উচ্চমাধ্যমিক হবে? আমরা পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।” বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির স্বপন মণ্ডল শিক্ষামন্ত্রীকে বিকল্প মূল্যায়নের পথ হিসেবে আইসিএসই বোর্ডের পথেই হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.