ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: মারণ ভাইরাস করোনার (Corona Virus) সঙ্গে লড়াইতে রাজ্যে এখনও চলছে আংশিক লকডাউন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bannerjee) নবান্ন থেকে আগেই ঘোষণা করেছেন স্কুল কবে খুলবে তা ডিসেম্বর মাসে ঠিক হবে। এর মধ্যেই রাজ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং (ITI)-এর অধিকর্তা সৌমেন বসু নির্দেশ দিয়েছেন ২৩ নভেম্বর থেকে রাজ্যের আইটিআইগুলি খুলে দিতে হবে।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা নবান্নের আদেশ মেনে হয়নি। কারণ, চলতি মাসের শুরুতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা নির্দেশিকা বলছে ৩০ নভেম্বরের আগে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না।
সৌমেনবাবুর দাবি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইটিআইকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। আইটিআইগুলিতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর যেহেতু কারখানা খুলে গিয়েছে তাই শিল্পের প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলায় অসুবিধে নেই। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর অধিকর্তা জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিত কোভিড বিধি মেনেই রাজ্যের আইটিআইগুলি চলবে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।”
রাজ্যে এখন সরকারি আইটিআই আছে ১৩০টি। বেসরকারি আইটিআইয়ের সংখ্যা ২৪০। আইটিআইয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগস্ট মাসে। লকডাউন চলায় সেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। জানুয়ারিতে আইটিআইয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা করাতে চাইছে কারিগরি শিক্ষা দপ্তর।
উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হলে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মানতে হবে। বাধ্যতামূলক মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার। এছাড়া শারীরিক দূরত্ববিধিও মানতে হবে। প্রতিটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আইটিআইগুলিতেও একই ভাবে কোভিড বিধি মেনে ক্লাস করতে হবে বলে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.