Advertisement
Advertisement
ITBP

রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়ে ঘরে ফিরেছে ছেলে, আনন্দে মাতোয়ারা নদিয়ার গড়াইমারি গ্রাম

'উনি আমাদের ভগবান', বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ITBP's ex DIG Bhabatosh Singha return home after retirement
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 8, 2020 8:10 pm
  • Updated:March 8, 2020 8:10 pm  

রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: গ্রামের ছেলে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়ে ঘরে ফিরতেই আবেগে ভাসল নদিয়ার করিমপুর থানার গড়াইমারি গ্রাম। গ্রামের মহিলারা তাঁর পা ধুইয়ে বরণ করার পর কাঁসরঘণ্টা বাজিয়ে সারা গ্রামে শোভাযাত্রা করলেন গ্রামবাসীরা। তারপর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে তাঁরা সংবর্ধনা দিলেন ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশ(ITBP)-র ডিআইজি ভবতোষ সিংহকে। তাঁর বৃদ্ধা মা কুসুমবালা সিংহ গ্রামের মানুষের এই আবেগ দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। শুধু একটি কথাই বলেছেন, ‘গ্রামের সকলে ভাল থাকুক।’

Garaimari village

Advertisement

গত বছরের ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার গ্রহণ করেন ভবতোষবাবু। এই খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতে সারা গ্রামের মানুষ উৎসুক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন তাঁদের ছেলে কবে বাড়ি ফিরবেন তার দিকে। গত ৩১ ডিসেম্বর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন ভবতোষ সিং। এরপর রবিবার গড়াইমারির বাড়িতে আসেন। তিনি ফিরতেই বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা।

[আরও পড়ুন: দোলে বিশেষ মেনু হরিণের মাংস, খদ্দেরদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে শ্রীঘরে বিক্রেতা ]

 

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সুরেশ সিকদার ও দিলীপ মণ্ডলরা বলেন, ‘ভবতোষবাবুর যথেষ্ট অবদান রয়েছে গ্রামবাসীদের জীবনে। ওনার প্রচেষ্টায় এই এলাকার অনেক ছেলেমেয়ে চাকরি পেয়েছেন। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে ভবতোষবাবু গ্রামের ভগবান। তাই তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়ার পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত গড়াইমারি গ্রামের বাড়িতে ফিরতেই মানুষ আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। কয়েক হাজার মানুষ কাঁসরঘণ্টা বাজিয়ে সারা গ্রামে তাঁকে নিয়ে শোভাযাত্রা করার পরে মানপত্র দিয়ে সংবর্ধনা জানান।’

[আরও পড়ুন: হাত খুইয়েছেন স্বামী, টোটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন কাটোয়ার পম্পা]

 

এপ্রসঙ্গে ভবতোষবাবু বলেন, ‘আমি মানুষের জন্য কী করতে পেরেছি জানি না। যা করছি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করেছি। অবসর গ্রহণের পর এই প্রথম বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, দাদা ও বৌদি। বাবা গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার আমার প্রয়াত পিতা স্বর্গীয় রমেশচন্দ্র সরকার ও গ্রামবাসীদের উৎসর্গ করলাম। যা কিছু হয়েছে বাবা ও মায়ের প্রচেষ্টা ও গ্রামবাসীদের ভালবাসায় হয়েছে। ওনাদের সক্রিয় প্রচেষ্টা এবং গ্রামবাসীদের ভালবাসা আর আশীর্বাদে আজ প্রশাসনের শীর্ষ স্থানে পৌঁছতে পেরেছিলাম। পরবর্তী সময়েও এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাব। যাতে গ্রামের ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান হয়।’

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement