সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহের নুরপুরে ভলিবল মাঠে শূন্যে গুলিচালনা স্রেফ আবেগের বশে! সমালোচনার মুখে পড়ে এমনই সাফাই দিলেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তবে স্বীকার করলেন, যা হয়েছে তা অবশ্যই অন্যায়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থাকলেই যখনতখন গুলি চালানো যায় না। ওই ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্র আইনে মামলাও রুজু হয়েছে বন্দুকধারী চারজনের বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলেই বন্দুকধারী বলে দাবি পুলিশের।
বিতর্কের সূত্রপাত ২৩ জানুয়ারি রাতে নুরপুরে এক ভলিবল টুর্নামেন্টে। নুরপুর টিপটপ ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই টুর্নামেন্টের সূচনায় শূন্যে পরপর চারটি গুলি চালানো হয়। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়। খেলাধুলোর মাঝে কেন গুলি? কার মদতে এই কাজ? কোথা থেকে বন্দুক হাতে এল তাদের? এসব প্রশ্ন ওঠে। ক্লাবের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। তবে গোটা বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ ক্লাব কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনের নজরে পড়তেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। বন্দুকধারী মনসুর আহমেদ খান, মহঃ রহমান খান, আলকামা খান চৌধুরী, মহঃ বখতয়ার খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ৩০ নং ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে, খেলার মাঠে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই আসরে নেমেছেন মানিকচকের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, ”ঘটনার কথা শুনেছি। ভলিবল মাঠে শূন্য গুলি চালানো হয়েছে। ওরা আবেগের বশে গুলি ছুড়েছে। বন্দুকের লাইসেন্স ছিল। কিন্তু লাইসেন্স থাকলেই যে ওভাবে গুলি ছোড়া যায়, তা নয়। পুলিশের অনুমতি দরকার ছিল। অনুমতি মিললে এই কাজ করা যেত। যা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা কেউ সেখানে যাইনি। আইনভঙ্গকারী কোনও কাজ বরদাস্ত হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.