Advertisement
Advertisement

বনধে শামিল পুত্রশোকে কাতর ইসলামপুর কাণ্ডে নিহত তাপস বর্মনের মা

মৃত ছেলেদের বিচারের আকুতি দুই পরিবারের৷

Islampur: Murdered Tapas Burman's mother in support of Bangla Bandh
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 26, 2018 4:09 pm
  • Updated:September 26, 2018 5:30 pm  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পুত্রশোকে কাতর তিনি৷ পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন রাস্তায়৷ কাউকে দেখলেই তেড়ে আসছেন৷ ভুলতে পারছেন না ছেলের মুখটা৷ এই তো জল-জ্যান্ত ছেলেটা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, বলে গিয়েছিল তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু আর ফিরল না৷ হঠাৎ আঘাত তাঁকে করে তুলেছে ইস্পাতের মতো শক্ত৷ বনধকে সর্বাত্মক সফল করতে তাই তীর-ধনুক হাতেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন নিহত তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মন৷ এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না কাউকে৷ বসে পড়েছেন রাস্তায়৷ শোকাহত মা’কে সামাল দিচ্ছেন মেয়ে রূপা বর্মন৷ ছেলের মৃত্যুর যথাযথ বিচার হবে, আশা রাখছে পরিবারটি৷

[পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে নতুন করে উত্তপ্ত ইসলামপুর, একাধিক বাসে আগুন]

Advertisement

একই অবস্থা মৃত অন্য ছাত্র রাজেশ সরকারের পরিবারেরও৷ সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে দুই পরিবার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজেশ সরকারের বোন মৌ সরকারকে কলকাতায় নিয়ে চলে এসেছেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়৷ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মৌ আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন৷ এলাকার পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত সম্ভবত তাঁকে নিজের গোপন আস্তানায় রাখবেন বিজেপি সাংসদ৷ এমনটাই পরিবার সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও তাপস বর্মনের বাবা বাদল বর্মনের সঙ্গে কথা হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। পরিবারকে সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ জানিয়েছেন শেষপর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে রয়েছে গেরুয়া শিবির৷ 

[বিজেপির ডাকা বাংলা বনধে তৃণমূলের গান্ধীগিরি]

বিজেপির ডাকা বনধে রাজ্যজুড়ে মিশ্র প্রভাব পড়লেও, রণক্ষেত্র ইসলামপুর৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়েছেন বনধের সমর্থনকারীরা৷ বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে৷ একাধিক স্থানে বাস ভাঙচুর, বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বনধ সমর্থকদের মুখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি বাসকে৷ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস ভাঙচুর করা হয় ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাসে৷ পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ হয়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়৷ ডালখোলা, মল্লিকপুর, মিঠাপুর, রেলগেট-সহ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বনধ সমর্থকরা পথ অবরোধ করেন৷ শ্রীকৃষ্ণপুরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বনধ সমর্থনকারীদের৷ বনধের সমর্থনকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়৷ এলাকায় নেমেছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ৷ চলছে টহলদারি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement