সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামপুর কাণ্ডে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করল গ্রামবাসীরা৷ মৃত দুই ছাত্রের দেহ দাহ না করে নদীর চড়ে পুঁতে দিলেন দাঁড়িভিট গ্রামের বাসিন্দারা৷ তাঁদের দাবি, ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ যতক্ষণ না সম্পূর্ণ ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে ততক্ষণ গলঞ্চা নদীর চরেই পোঁতা থাকবে মৃত দুই ছাত্র রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের দেহ৷ ইতিমধ্যে, ওই গ্রামে গিয়েছে বামেদের প্রতিনিধি দল৷ পাশাপাশি, শনিবারেও আন্দোলনে নেমেছে গেরুয়াপন্থী সংগঠনগুলি৷ রাজ্যজুড়ে শনিবার ছাত্র ধর্মঘট পালন করছে পাঁচটি বাম ছাত্র সংগঠন৷
[পরপুরুষে আসক্ত স্ত্রী, গুলি করে খুনের কথা কবুল স্বামীর]
শুক্রবার রাতেই ওই দুই ছাত্রের দেহ বাক্সে ভরে গলঞ্চা নদীর চড়ে পুঁতে দেন গ্রামবাসীরা৷ সেখানেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধরনায় বসেছেন তাঁরা৷ তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, যৌথ উদ্যোগে দাঁড়িভিট স্কুলের নিরীহ ছাত্রদের উপরে গুলি চালানো হয়েছে৷ তাঁরা দাবি করেছেন, ফের ময়নাতদন্তের৷ ঘটনায় আজও আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ জেলা পুলিশের তরফে স্পষ্ট বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে যে, তাদের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি৷ কিন্তু পুলিশের কোনও বিবৃতিই মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন মৃত দুই ছাত্রের পরিবার ও গ্রামবাসীরা৷ শনিবার সকালেই গ্রামে যায় সিপিএমের প্রতিনিধি দল৷ যার নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক তথা বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য৷ সেখানে গিয়ে গ্রামবাসী ও নিহত ছাত্রর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা৷ শোনেন তাঁদের দাবি-দাওয়া৷ সূত্রের খবর, ঘটনার প্রতিবাদে আজও জেলাজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে গেরুয়াপন্থী সংগঠনগুলি৷ যশোর রোড অবরোধে বসেছে বজরং দল৷ সম্পূর্ণ স্তব্ধ যান চলাচল৷
[বিজেপির হাতছাড়া পঞ্চায়েত, গঙ্গাজল দিয়ে অফিস ধুয়ে ‘পবিত্র’ করল তৃণমূল]
স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর৷ স্থানীয় দাঁড়িভিট হাই স্কুলের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান এক কলেজ পড়ুয়া। মৃতের নাম রাজেশ সরকার। তিনি ছিলেন আইটিআই ফাইনাল ইয়ার ও ইসলামপুর কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। রাজেশের বুকে গুলি বেঁধে। জখম হন ন’জন। যাঁদের মধ্যে বুকে ও পায়ে গুলি লাগে স্কুলের দুই ছাত্র তাপস বর্মন ও বিপ্লব সরকারের। তারপর শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাপসের। পুলিশের বিরুদ্ধেই ওঠে অভিযোগের আঙুল৷ প্রতিবাদে শুক্রবার গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে শুক্রবার বনধ পালন করে বিজেপি৷ তারও ব্যাপক প্রভাব পড়ে৷ বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ লাগে৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি ওঠে বিরোধীদের তরফ থেকে৷ যদিও ঘটনার পিছনে আরএসএস-এর মদত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.