অর্ণব দাস, বারাসত: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম দফার টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকতেই কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের আইএসএফের সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। দেগঙ্গা ব্লকের নূরনগর পঞ্চায়েতের এহেন ঘটনা উপভোক্তারা প্রধানকে জানতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএসএফ সদস্যার স্বামী মহম্মদ কামরুজ্জামান।
নূরনগর পঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামের থেকে সদস্য নিবাচিত হয়েছেন মেহেরুন খাতুন। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে সমস্ত কাজ কামরুজ্জামানই দেখাশোনা করেন। সম্প্রতি, নূরনগর এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন ‘বাংলার বাড়ি’র জন্য আবেদন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই যোগ্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রথম দফার ৬০ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছে। সরকারি বাড়ির টাকা ঢুকতেই বহু উপভোক্তার থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মহম্মদ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে তিনি দ্বিতীয় দফার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন উপভোক্তারা।
অভিযোগকারী উপভোক্তা তারাবানু বিবি বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বাড়িতে ডেকে ঘরের জন্য পাওয়া টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে বলেছে। বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানিয়েছি।” আরেক উপভোক্তা নুরবানু বিবি বলেন, “ঘরের টাকা ঢুকতেই মেম্বারের স্বামী এসে ১৫ হাজার টাকা চেয়ে বলছে, অফিসারকে দিতে হবে।” এই প্রসঙ্গে নূরনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “কয়েকজন উপভোক্তা এনিয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি মৌখিক ভাবে দেগঙ্গা বিডিওকে জানিয়েছি। এছাড়াও অভিযোগকারীদের বলেছি, কাউকে এক টাকাও দেবেন না।” অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেগঙ্গা বিডিও ফায়িম আলী। যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ জানিয়ে মহম্মদ কামরুজ্জামানের দাবি, “আমি আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি বলেই কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.