রুপায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের পর শনিবার প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা, উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। অথচ এ হেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কোচবিহারে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলে খবর। যদিও তাঁর এই সফর দলের তরফে পূর্বনির্ধারিত ছিল না।
ভোটের ফল প্রকাশের পর দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) লকেট চট্টোপাধ্যায়দের (Locket Chatterjee) মতো সিনিয়র নেতারা নাম না করে কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। বঙ্গে বিজেপির বিপর্যয়ের পরে ঘরে-বাইরে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েছেন শুভেন্দু। তাছাড়া, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে সমান্তরাল সংগঠন চালানোর অভিযোগও রয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। দিনকয়েক আগে কিছুটা অভিমানের সুরেই সমালোচকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ভালো হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন। খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান। আমি কখনওই দলের অভ্যন্তরের বিষয় বাইরে বলি না। আমার কাজ প্রচার করা। সাংগঠনিক ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করি না। ভবিষ্যতে করার ইচ্ছেও নেই।” সেই মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গ বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের অন্দরের দড়ি টানাটানি । শনিবার দলীয় বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি সেই দ্বন্দ্বের তত্ত্ব আরও উসকে দিল।
বস্তুত ভোটের ফলপ্রকাশের পর নাকি শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার উলটো দিকে দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শোনা যাচ্ছে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর অভিমানী শুভেন্দু? নাকি দিলীপ, সুকান্তদের মুখোমুখি হতে চাইছেন না তিনি? প্রশ্ন বহু।
যদিও এসব বিতর্কে আমল দিচ্ছেন না শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলছেন, “আমি কোচবিহার যাচ্ছি। সেখানে প্রায় ২৭০ ঘরছাড়া কর্মী পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবো। এতগুলো রাজ্যে ভোট হয়েছে, সেখান থেকে তো কোনও হিংসার খবর আসে না। এখানেই কেন হচ্ছে? এই বিষয়ে আজ জেলাশাসকের সঙ্গেও দেখা করার কথা আছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.