Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uluberia

রূপনারায়ণের চরে জাহাজ সারাইয়ের কারখানা বন্ধ প্রশাসনের, আরও কড়া নজরদারি সেচ দপ্তরের

বিভিন্ন ইটভাটা আচমকা পরিদর্শন হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

Irrigation Department to keep stricter vigil on Rupnarayan Char in Uluberia

সেই অবৈধ কারখানা।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:April 13, 2025 7:48 pm
  • Updated:April 13, 2025 8:11 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: শ্যামপুরে রূপনারায়ণ নদের চর কেটে জাহাজ কারখানা নির্মাণের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই বিষয়ের পরেই নদীর চর আরও সুরক্ষিত রাখতে নজরদারি বাড়াচ্ছে সেচ দপ্তর। পাশাপাশি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরও এই বিষয়ে নজরদারি করবে বলে খবর। প্রয়োজনে বিভিন্ন ইটভাটাগুলিতেও আচমকা পরিদর্শন হবে বলে জানানো হচ্ছে। নদীর চরে আর কোথায় অবৈধভাবে জাহাজ সারাইয়ের কারখানা তৈরি করা হয়েছে? সেসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শ্যামপুরের দু’নম্বর ব্লক এলাকায় ইটভাটার ভেতরেই নদীর চর কেটে জাহাজ সারাইয়ের কারখানা নির্মাণ হয়েছিল অবৈধভাবে। ইটভাটার মালিক প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এই কাজ করছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সেচ দপ্তরের নজরে আসে এই বিষয়টি। হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং সেচ দপ্তর নড়েচড়ে বসে। আধিকারিকরা সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে হতবাক হয়ে যান। নদীর চরের অনেকটা গভীর করে কাটা হয়েছে। সেখানে আস্ত জাহাজ রয়েছে। বাইরে থেকে বিষয়টি খুব একটা নজরেও পড়বে না। এরপরই ওই ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়। যে ইটভাটার মালিক এই জাহাজ সারাইয়ের কারখানা অবৈধভাবে করছিল, সেই মালিককে কারখানা অবিলম্বে বন্ধ করতে বলা হয়।

Advertisement

বিষয়টি এখানেই ধামাচাপা রাখতে রাজি নয় সেচ দপ্তর এবং হাওড়া জেলা প্রশাসন। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সময়ে নদীর চরে পরিদর্শন করতে হবে। রূপনারায়ণের চরে অনেক ইটহাটা আছে। সেগুলিও পরিদর্শন করা হবে। প্রসঙ্গত, সেচ দপ্তর সাধারণত বর্ষার সময় নদীর তীরে নজরদারি বাড়ায়। শ্যামপুরের এই ঘটনার পরেই সেচ দপ্তর আরও তৎপরতা নিচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্ট ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকেও এই বিষয়টির উপরে নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মী ও কর্তারাও বিভিন্ন নদীর চর, নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে যাবে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কোনওভাবেই যাতে নদীর চর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, যেখান থেকে মানুষ বড়সড় বিপদের মধ্যে না পড়তে পারে সে বিষয়টার উপর জোর দেওয়া। আমরা সম্মিলিতভাবে আরও নজরদারি বাড়াচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনিকভাবে আরও যদি কিছু করার থাকে সেটা আমরা করব। অবৈধ কিছু ঘটলে আগামী দিনেও কড়া ব্যবস্থা নেব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement