Advertisement
Advertisement

Breaking News

সেচ দপ্তরের আবাসনে তৈরি হচ্ছে ম্যাসাঞ্জোরের রেপ্লিকা! বিতর্ক তুঙ্গে

রং বিভ্রাটের পর এবার রেপ্লিকা বিতর্ক!

Irrigation department in bog over dam replica in Birbhum
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 19, 2018 3:51 pm
  • Updated:September 19, 2018 3:51 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বীরভূমের ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাজ্য সরকার। বাঁধের রঙ নীল-সাদা করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিজেপি। আপাতত বন্ধ বাঁধ রং করার কাজ। এবার বীরভূমের সিউড়িতে সেচ দপ্তরের আবাসনে তৈরি করা হচ্ছে ম্যাসোঞ্জোরের রেপ্লিকা। ফের বিতর্ক তৈরি হতে পারে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

[ স্কুলে অশরীরী আতঙ্ক! অসুস্থ বেশ কয়েকজন ছাত্রী]

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের ম্যাসাঞ্জোরে ময়ুরাক্ষী নদীর উপর বাঁধটি তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ম্যাসোঞ্জোর বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বও এ রাজ্যের সেচ দপ্তরের। কিন্তু, সম্প্রতি যখন বাঁধে নীল-সাদা রং করার কাজ চলছিল, তখন আপত্তি তোলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি বাঁধে নীল-সাদা রং করে দলের প্রচার করতে চাইছে এ রাজ্যের শাসকদল। ঘটনা হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের রং নীল-সাদা। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সমস্ত সরকারি ভবন ও আবাসন রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের রঙে। ম্যাসাঞ্জোর বাঁধে নীল-সাদা রং করার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের তরজা চরমে পৌঁছয়। তিক্ততা এতটাই বাড়ে যে, বাঁধের ফলক থেকে খুলে দেওয়া হয় বিশ্ববাংলার লোগো। জট এখনও কাটেনি। ১ আগস্ট থেকে বন্ধ ম্যাসাঞ্জোর রং করার কাজ।

এদিকে আবার সিউড়িতে সেচ দপ্তরের আবাসন ফের ম্যাসোঞ্জোর বাঁধের রেপ্লিকা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আবাসনে দুর্গাপুজো হয়। সেই পুজোর থিমই নাকি ম্যাসোঞ্জোর বাঁধ! যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। ময়ূরাক্ষী সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তথা সেচ কলোনি আবাসনের পুজোর মুখ্য উপদেষ্টা কিংশুক মণ্ডল জানিয়েছেন, ম্যাসাঞ্জোর নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আর আবাসনের পুজো নিয়ে আবাসিকরা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই হবে।ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রেপ্লিকা তৈরি করা নিয়ে যে বিতর্ক হতে পারে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সেচ কলোনি পূজা কমিটির সম্পাদক পরিতোষ শিকদার। তাঁর দাবি, যাঁরা ম্যাসাঞ্জোর যেতে পারেননি, তাঁদের জন্য বাঁধের রেপ্লিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিউড়িতে ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রেপ্লিকা অবশ্য নতুন নয়। সেচ দপ্তরের মূল অফিস ও ময়ূরাক্ষী ক্লাবের মাঝে ১৯৭৫ সালে ম্যাসোঞ্জোর বাঁধের রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছিল। ফের আবার প্রায় ৪৫ বছর পর সেই সেচ কলোনির মাঠে ২৭০ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট উচ্চতার ম্যাসাঞ্জোরের বাঁধ তৈরি হচ্ছে। 

[মুখ ফিরিয়েছে পরিবার, হাসপাতালে বসে স্বেচ্ছামৃত্যুর আরজি অশীতিপর বৃদ্ধর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement