ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এম.এডের মেধাতালিকা নিয়ে বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University) চূড়ান্ত বিতর্ক। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই ওয়েবসাইট থেকে দ্রুত তুলে নেওয়া হল ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা। বিশ্বভারতীর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংশধন করে দ্রুত মেধাতালিকা আবার প্রকাশ করা হবে। বিনয় ভবনের এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা দেখে মূল্যায়ন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেক ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে চূড়ান্ত অনিয়মের। বিষয়টিতে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
সোমবার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। বিশ্বভারতীতে অনলাইনে এম.এডের (M.Ed) প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। তাতে কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কারও প্রাপ্ত নম্বর ১৫১! মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত মেধাতালিকায় এসব নম্বর দেখে চক্ষুচড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের। সেইসঙ্গে মনে হাজারও প্রশ্ন। এ কি সত্যিই নম্বর বিভ্রাট নাকি মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই গরমিল? বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যতই চর্চা শুরু করুক, ওইদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ বরাবরের। হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও কি তারই একটি অংশ? শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল শোরগোল। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য নম্বরের তালজ্ঞান লোপ পেয়েছে পরীক্ষকদের। এমনিতে এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষামহলেও তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি খতিয়ে দেখবে মেধাতালিকায় এই ধরনের ভুলের জন্য কারা দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.