সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: তৃণমূলনেত্রীর মিছিলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে শিলিগুড়ির দলীয় কোন্দল। এই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র ‘বহিরাগত’। এই ‘অজুহাতে’ নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করতে চান তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভলপমেন্ট অথরিটি ভাইস-চেয়ারম্যান নান্টু পাল। এ নিয়ে তিনি দলীয় নেতৃত্বকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
নান্টুবাবুর দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁকে অন্য দলে যোগ দিতে বারণ করেছে দলীয় নেতৃত্ব। সে কথা রাখলেও ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট জানালেন নান্টুবাবু। তাঁর বক্তব্য, “শিলিগুড়িতে দীর্ঘদিন বিধায়ক এবং মন্ত্রী ছিলেন সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য। এখন তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র। তা সত্ত্বেও উনি শিলিগুড়ির উন্নয়ন করেননি। আমি শহরের উন্নয়ন করতে চাই।” নান্টুবাবুর দাবি, তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্রকে শহরের মানুষ চাইছে না। বরং সকলে তাঁকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে চাইছে বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য।
ভোটে জিতলে কী করবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিলিগুড়ির দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। নান্টুবাবু বলেন,”নির্দল হিসেবে দাঁড়ালেও যে দল শিলিগুড়ির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেবে তাঁদের সঙ্গেই থাকব আমি।” যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” নান্টু পালে আরও দাবি, তাঁকে প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে ভিতরে-ভিতরে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমনকী, পোস্টার তৈরি হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ওমপ্রকাশবাবুর মতো বহিরাগতকে টিকিট দেওয়ায় দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য, নান্টুবাবু এর আগে শিলিগুড়ি বিধানসভা ভোটে হেরেছিলেন। তখন তিনি অবশ্য ছিলেন কংগ্রেসে। তবে কাউন্সিলর হিসেবে তাঁর সাফল্য ঈর্ষণীয়। ৯৮ সাল থেকে পরপর ভোটে তিনি জিতেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি একাধিক খেলাধুলার শাখার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে তিনি শহরে পরিচিত নাম। পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মের জন্য কিছুটা পরিচিতি রয়েছে। তবে একাধিকবার দলীয় জার্সি পরিবর্তন করায় তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মতও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.