স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: বদলে যেতে চলেছে দার্জিলিং মেলের ‘সোর্স’ স্টেশন? নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পরিবর্তে এবার আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ছাড়তে পারে উত্তরের এই ‘ভিআইপি’ ট্রেন। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে। এমনই খবর ছড়াতে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস-এর স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়ায় জলপাইগুড়ি জুড়ে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে। রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এবার দার্জিলিং মেলের সোর্স স্টেশন এনজেপি থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে শিলিগুড়িও রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হবে বলে বিভিন্ন মহলের তরফে জানানো হয়েছে।
[ অবিশ্বাস্য! বৃদ্ধার গলা থেকে বেরল ১ কেজি ৭০০ গ্রামের টিউমার ]
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেছেন, “সরকারিভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” তবে দার্জিলিং মেলের মতো অগ্রাধিকারভিত্তিক ট্রেনের সোর্স স্টেশন এনজেপি থেকে আলিপুরদুয়ারে সরিয়ে নেওয়া হলে ট্রেনটির পরিষেবা ঠিকমতো মিলবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। সেই সঙ্গে ডুয়ার্সের পথে ওই ট্রেনটিকে চালানোর চিন্তাভাবনা চলছে বলে খবর। ফলে জঙ্গলপথে হাতি চলাচলের করিডর থাকায় ট্রেনটি আদৌ নিয়মিত সময়ে এনজেপিতে পৌঁছতে পারবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় যাত্রীরা। কোনওভাবেই যাতে দার্জিলিং মেলের সোর্স স্টেশন পরিবর্তন না করা হয়, সেই দাবিতে আজ বুধবার কাটিহারের ডিআরএমের দ্বারস্থ হচ্ছে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর রেলওয়ে যাত্রী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি দীপক মহান্তি বলেন, “দার্জিলিং মেলের একটা সুনাম রয়েছে। ডুয়ার্স রুট দিয়ে ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত চালানো হলে বন্যপ্রাণীর করিডর পার হয়ে নিয়মিত সময়ে ট্রেন পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব। ডিআরএম এর কাছে এই বিষয়টিই তুলে ধরা হবে।” উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, নর্থবেঙ্গল (ফোসিন)-এর সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাসের মতে, দার্জিলিং মেলের সোর্স স্টেশন না সরালেই ভাল। দার্জিলিং মেলের সোর্স স্টেশন যাতে বদলানো না হয়, সেই দাবি জানিয়ে রেলকে চিঠি লিখেছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও।
[ দুর্ঘটনায় রোজগেরে ছেলের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ নিয়ে উধাও বউমা ]
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ তুলে নেওয়া নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “পদাতিক এক্সপ্রেসে জলপাইগুড়ির বহু মানুষ কলকাতায় যান। বিকল্প তেমন কোনও ট্রেন নেই। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।” জলপাইগুড়ি চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক বিকাশ দাসের দাবি, “জলপাইগুড়িকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। এভাবে চালু স্টপেজ বন্ধ করে রেল ঠিক কাজ করেনি। ফের জলপাইগুড়ি রোডে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ ফিরিয়ে আনতে হবে। এনিয়ে আন্দোলন হবে।”
[ রেল বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা, মেট্রো সম্প্রসারণ কার্যত হিমঘরে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.