নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। জেলা কংগ্রেস–যুব কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ধুন্ধুমার কোচবিহারে। বুধবার আইন অমান্য কর্মসূচিতে শামিল হয় কোচবিহার জেলা কংগ্রেস। সেখানে দলের মূল সংগঠন এবং যুব সংগঠন আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে। দুই সংগঠনের দুটি পৃথক মিছিল ঘিরেই শুরু হয় ঝামেলা। হাতাহাতি শুরু হয় দু’পক্ষের সদস্যদের মধ্যে। পরে অবশ্য সমস্যা মেটাতে একজোট হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছন যুব এবং জেলা কংগ্রেসের সদস্যরা।
বুধবার রাজ্যজুড়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুর বিরোধিতায় আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের। সম্প্রতি তিন রাজ্যে জয় কংগ্রেস কর্মীদের বেশ খানিকটা চাঙ্গা করে তুলেছে। তাই এদিনও কর্মসূচি ঘিরে দলের কর্মী, সমর্থকদের যোগদান ছিল অনেকটাই বেশি। আর একইসঙ্গে কোচবিহারের সংগঠনের ভঙ্গুর ছবিও সামনে চলে এল। যুব কংগ্রেস এবং জেলা কংগ্রেস আলাদা করে মিছিল শুরু করে। কেন যুব কংগ্রেস আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করছে? এই প্রশ্ন তোলেন জেলা কংগ্রেসের সদস্যরা। সেখানেই শুরু হয় হাতাহাতি। আহত হন জেলা কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ সরকার-সহ বেশ কয়েকজন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরির অভিযোগ, যুব সংগঠনের পতাকা হাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তৃণমূলের সদস্যরা। সব অভিযোগ যথারীতি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। তাঁর পালটা দাবি, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই বলে জেলা কংগ্রেস দাবি করলেও এদিনের পরিস্থিতিতে তা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে না।
[ভিনরাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত করিমপুরের যুবক, এলাকায় শোকের ছায়া]
এমনিতেই রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন রীতিমত ভঙ্গুর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর হাইকমান্ডের কানেও পৌঁছেছে। সেইমতো সংগঠনকে ফের সাজিয়ে তোলার কাজে নেমেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। চেষ্টা করছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর। তা সত্বেও নানা স্তরের মধ্যে যে যথাযথ সমন্বয় নেই, তা বোঝা গেল এদিন কোচবিহারের ঘটনায়।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.