সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধায়ক রহিমা মণ্ডল বনাম পঞ্চায়েত সভাপতি মফিদুল হক। এই দুই গোষ্ঠীর লাগাতার ঠান্ডা লড়াইয়ে যেন আচমকাই ঘি পড়ল। বৃহস্পতিবার রাতভর রাজ্যের শাসকদলের এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাপড়া বাজার। অভিযোগ, রাতভর বোমাবাজি, গুলি, তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের মতো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। সকালেও থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের সঙ্গে পঞ্চায়েত সভাপতি মফিদুলের চোরা সংঘাত চলছিল। বৃহস্পতিবার আমফানের ক্ষতিপূরণ পেতে বিধায়কের কার্যালয়ে ভিড় করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। দিনভর চাপা অশান্তির পর রাতে আচমকাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, জনা কয়েক দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি করতে থাকে। চলে গুলিও। এরপর একটি দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তারা তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, ছিঁড়ে ফেলা হয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পোস্টারও। রাতে এত অশান্তির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দুষ্কৃতীরা অধরা।
এই ঘটনা কে বা কারা ঘটাল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিধায়ক রহিমা মণ্ডল। মফিদুল গোষ্ঠীর অভিযোগ, আমফান ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বিধায়ক। তাই জনরোষের প্রতিফলন ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায়। দেগঙ্গায় এ নিয়ে সাম্প্রতিককালের মধ্যে একাধিকবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বেশিরভাগ সময়েই রাতেই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। কখনও প্রাক্তন পঞ্চায়েত নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, তো কখনও হামলা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এতবার দলকে সতর্ক করা সত্ত্বেও উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকায় যে তা এতটুকুও কমেনি, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাই তার প্রমাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.