Advertisement
Advertisement
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তাক্ত শাসক শিবির, আরামবাগে দু’দলের বোমাবাজিতে নিহত যুব তৃণমূল কর্মী

চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কে কাঁটা গ্রামবাসীরা।

Inner clash of TMC at Arambag, bombing, youth TMC member died

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 6, 2020 4:41 pm
  • Updated:August 6, 2020 7:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাণ দিয়ে দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের মাসুল গুনতে হল এক যুব তৃণমূল কর্মীকে (Youth TMC)। আজ সকালে আরামবাগের হরিণখোলায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজিতে মৃত্যু হল ইসরাইল খান নামে বছর পঁয়ত্রিশের তরতাজা যুবকের। আহত বেশ কয়েকজন। তাঁদের সকলকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জখমদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। সকাল সকাল এলাকার এই পরিস্থিতিতে কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।

Arambag-dead-TMC
মৃত যুব তৃণমূল কর্মী

হরিণখোলা ২নং পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোমালিন্য, বিরোধিতা দীর্ঘদিনের। এতদিন এ নিয়ে ছোটখাটো অশান্তি লেগে থাকলেও, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সমস্যার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে থেকে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। বুধবার দিনভর প্রকাশ্যেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ঘোলতাজপুর গ্রামের বাসিন্দারা। রাতটুকু সব শান্ত থাকার পর আজ সকাল থেকে ফের উত্তেজনার পরিস্থিতি। এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, আশেপাশে পরিবেশ এতটাই থমথমে ছিল যে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরতেই ভয় পাচ্ছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা যোদ্ধার স্নানের ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি পরিবারের! পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা]

তবে সংঘর্ষ চরম আকার নেয় বেলার দিকে। গ্রামের মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা লালটু খানের অনুগামী এবং পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে বোমা, গুলি নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারই মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন ইসরাইল খান। তিনি লালটু খানের অনুগামী বলে পরিচিত। যুব তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। বোমার (Bombing) আঘাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।

[আরও পড়ুন: ফি মকুবের দাবিতে ফের সরব অভিভাবকরা, মহেশতলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথ অবরোধ]

ঘটনার খবর শুনে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, তিনি আরামবাগে গিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরই সবটা স্পষ্ট হবে। দোষীদের যথাযথ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাঁটা যে রয়েই গিয়েছে, ইসরাইল খানের মৃত্যুই তার প্রমাণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement