জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এক কলেজ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, প্রতারণার জন্য ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার বনগাঁর বাগদার যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। আর এই ঘটনা ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল সেখানকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের অঞ্চল সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা নিয়ে একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিল।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডহর প্রথা গ্রামের বাসিন্দা পৌলমী বিশ্বাস। বছর উনিশের এই ছাত্রী দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করে। বাগদা থানায় তিনি রনাঘাটে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শুভেন্দু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনকী এসব কথা পাঁচকান না করার জন্য চাপ দিতে ওই নেতার স্ত্রী তাঁকে মারধরও করেন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাগদা থানার পুলিশ শুভেন্দুকে গ্রেপ্তার করেছে।
আর এরপরই বাগদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। রনাঘাট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গৌতম মণ্ডলের দাবি, শুভেন্দু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের অনুগামী। অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই যুবতীকে ফোন করে চাপ দিচ্ছেন গোপা রায়। এমনকী শুভেন্দুকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তদ্বির করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপাদেবী।
অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গৌতম মণ্ডলের সমস্ত অভিযোগ ভুল বলে পালটা দাবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের। তিনি বলেন, “আমাকে মেয়েটি সব বলেছে। আমি শুনেই ওকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে সবরকমভাবে পাশে থাকব। কিন্তু ঠিক কার বিরুদ্ধে, তা জানতেই ওকে ফোন করি। অথচ এই ফোন নিয়ে সম্পূর্ণ উলটো কথা বলা হচ্ছে।” তাহলে কি অভিযোগকারী ছাত্রী নিজেই কোনও একটি গোষ্ঠীর সমর্থক? তাই তাঁর অভিযোগ নিয়ে এত জলঘোলা চলছে? নাকি নিতান্তই দলের যুব নেতার ইমেজ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ছাত্রীকে চাপ দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে বহু। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কাজ করছে।
শুনুন দু’পক্ষের বক্তব্য:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.