ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আদালতে শুনানি চলাকালীন কোর্টের লকআপের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার (attempts suicide) চেষ্টা করল বিচারাধীন বন্দি। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করান বারুইপুর (Baruipur) আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশকর্মীরা। বিচার চলাকালীন এজলাসে তার এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় বারুইপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্যানিং পূর্ব (Canning Purba) বিধানসভার দেওলি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর তিরিশের শাহজাহান মোল্লা টানা কয়েক মাস ধরেই জেলবন্দি। ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে সে ভাঙড় থানায় আত্মসমর্পণ করেছিল। তারপর থেকে কখনও জীবনতলা থানা, কখনও কাশিপুর থানা, কখনও আবার বকুলতলা থানা – একের পর এক থানায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শাহজাহান মোল্লা। এই মুহূর্তে সে ছিল বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
এদিন তাকে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শুনানির জন্য বারুইপুর মহকুমা আদালতে আনা হয়। শুনানি শুরু হতেই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। আর ঠিক সেসময়ই শাহজাহান মোল্লা কোর্ট লকআপের মধ্যেই নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য আদালতে থাকা পুলিশকর্মীরা তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর একটু সুস্থ হয়ে শাহজাহান মোল্লা গুরুতর অভিযোগ করে। অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি (BJP) করার অপরাধে তাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দিনের পর দিন তাকে এক থানা থেকে অন্য থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। তার বাড়ি জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। তার পরিবারের লোকজন কোথায় আছে, সেসব কিছুই জানে না এবং সেই কারণেই সে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল বলে জানায় শাহজাহান।
এসবের জন্য সে অভিযুক্ত করেছে ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জীবনতলা থানার পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো। তার উপর এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা করায় আরও একটি মামলা দায়ের হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.