ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত পৌঁছতে হবে যজমানের বাড়ি। তাই সাইকেল নিয়ে কোনও মতে রেল গেট পেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন পুরোহিত। কিন্তু এই তাড়াহুড়োয় তাঁর প্রাণটাই যে অকালে চলে যাবে, তা কি আর আগে কেউ ভেবেছিলেন! সোদপুরের ৮ নম্বর রেলগেট পেরনোর সময় শান্তিপুর লোকালের ধাক্কায় ছিটকে পড়লেন তিনি। তখনও শরীরে প্রাণ ছিল। হয়তো বা প্রাণে বেঁচেও যেতেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, সময়মতো পৌঁছয়নি রেল পুলিশ। আর রেলের এলাকা হওয়ায় গুরুতর জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশও। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে সোদপুর স্টেশনে রেললাইনেই মৃত্যু হল ওই পুরোহিতের।
মৃতের নাম উৎপল চক্রবর্তী। পেশায় পুরোহিত। বিভিন্ন মন্দির ও আশপাশের বাড়িতে নিত্যপুজো করে দিন চলত তাঁর। এদিনও যজমানের বাড়ি পুজো সারতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সোদপুর স্টেশন পেরনোর আগেই রেল গেট পড়ে গিয়েছিল। রেল গেট ওঠার অপেক্ষা করলে অনেকটা সময় লাগত। তাই ট্রেন আসতে দেখেও পার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু রেললাইন পার করতে পারেননি উৎপলবাবু। শান্তিপুর লোকালের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন উৎপলবাবু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেললাইনে ছিটকে পড়ার পরও জীবিত ছিলেন উৎপলবাবু। গুরুতর চোট পাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়েও রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করে বলে অভিযোগ। এদিকে খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থল যেহেতু রেল পুলিশের আওতাধীন, তাই নিয়ম মেনে দেহ উদ্ধার করতে পারেনি তারা। রেল পুলিশ এসে পৌঁছলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে রেললাইনে প্রায় ১ ঘণ্টা পড়েছিলেন জখম উৎপলবাবু। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রেল পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.