সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে নিজের বাড়িতেই আগুন লাগানোর অভিযোগ। তবে স্ত্রী ও দুই সন্তান ঘরে থাকলেও কারোরই কোনও ক্ষতি হয়নি। বাড়িমালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলার (Maheshtala) রামপুরের বড়ুয়া পাড়ার ঘটনা।
মহেশতলা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরের বড়ুয়াপাড়ায় স্ত্রী রুম্পা দাস নস্কর এবং চার ও ছয় বছর বয়সি দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন পাপ্পু দাস। তিনি পেশায় মণ্ডপকর্মী। করোনার সময় থেকেই পাপ্পুর আয় অনেকটাই কমে যায়। দুই সন্তানকে মানুষ করতে স্ত্রী রুম্পাদেবী মাঝেরহাটের একটি বেসরকারি সংস্থায় রঙের কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। কিন্তু স্ত্রীর কাজের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই নাপসন্দ ছিল পাপ্পুর। তা নিয়ে বহুবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলাও হয়েছে। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহও দানা বাঁধে স্বামীর। এসবের টানাপোড়েনে নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল ওই দম্পতির সংসারে।
বুধবার সকালে কাজে বেরচ্ছিলেন পাপ্পুর স্ত্রী রুম্পা। কিন্তু এক সন্তান সেসময় কান্নাকাটি করছিল। স্ত্রীকে কাজে বেরতে নিষেধ করেন রুম্পার স্বামী। তখন ওই দম্পতির মধ্যে বচসার সূত্রপাত। অশান্তি এড়াতে রুম্পা আর কাজে বেরননি। কিন্তু পাপ্পু মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে নিজের বিছানায় কেরোসিন তেল ঢেলে আচমকাই আগুন ধরিয়ে দেয়। যখন হুঁশ ফেরে তাঁর নিজেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে পাপ্পু।
ততক্ষণে ঘরের অনেক জিনিসপত্রই পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরটিও। যদিও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান স্ত্রী রুম্পা ও তাঁর দুই সন্তান। আগুনের আঁচ লাগেনি তাঁদের গায়ে। এদিকে এই ঘটনায় বাড়ির মালিক রামা নস্কর বিষয়টি মহেশতলা থানায় জানান। জিঞ্জিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.