ছবি: প্রতীকী
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: আড়াই বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বুদবুদের সন্ধিপুর গ্রামে৷ মৃত শিশুটির নাম বিশ্বজিৎ বাগদী৷ বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ঘরে শুইয়ে রেখে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন তার মা এবং বাবা গিয়েছিলেন বাজারে৷ তাঁদের দাবি, বাড়ি ফিরে দেখেন, ছেলে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ বুকে কফ বসে শ্বাস আটকেই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এদিকে আবার খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
[নবমীর রাতে ফের চুরি ইসিএলের কর্মী আবাসনে, আসবাবপত্রে আগুন]
জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে বুদবুদের সন্ধিপুর গ্রামের আশিস বাগদীর সঙ্গে বিয়ে হয় তনু বাগদীর। তাঁদেরই একমাত্র সন্তান আড়াই বছরের বিশ্বজিৎ। মৃতের মা তনু বাগদী জানিয়েছে, ঘটনার সময় ছেলের জন্য খেলনা কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী এবং তিনি ছেলেকে ঘরে শুইয়ে রেখে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন৷ বাড়ি ফিরলে ছেলেকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি৷ অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না দিলে, তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ এরপরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়৷ তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিশ্বজিতের মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদদ্যরা৷ তনুদেবীর কাকা, কল্যাণ বাগদী জানান, “ঘটনাটি স্বাভাবিক নয়। আমাদের অনুমান শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। তাই গোটা ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
[নবমীতে স্ত্রীদের হাতে প্রহৃত হন স্বামীরা, আজব রীতি এখানকার দুর্গাপুজোয়]
এমন রহস্যজনক ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে । পরিবারের দাবি, বিশ্বজিতের গলায় দাগ রয়েছে৷ তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে৷ এদিকে আবার গত কয়েক দিন ধরেই ঠাণ্ডা লেগে বিশ্বজিতের বুকে কফ জমে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুকে কফ জমে মারা গিয়েছে শিশুটি৷ আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি কমল বৈরাগ্য জানান, তাঁদেরও প্রাথমিক ধারনা শ্বাসকষ্টেই মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিতের৷ তবে এটা খুন নাকি অন্যকিছু সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি তিনি৷ মৃতের এক দাদু-সহ এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.