সুব্রত বিশ্বাস: দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এহেন সংকটকালে সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা সরকার। ফলে কর্মীদের হাজিরা নিয়ে ভাবনায় পড়েছে রেল।
বৃহস্পতিবার নির্ধারিত অঞ্চলগুলিতে কড়া লকডাউন শুরু হচ্ছে। হাওড়া, হুগলিতে অনেক কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে যেখানে বহু রেলকর্মী বাস করেন। ওই অঞ্চলগুলি থেকে আসতে পারবেন না কর্মীরা। যাঁদের মধ্যে ট্রেনের চালক, গার্ড, ফ্রণ্টলাইন কর্মী, অফিস ক্লার্ক রয়েছেন। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “লকডাউনে সমস্যা হবে। অফিসগুলিতে পঞ্চাশ শতাংশ হাজিরা, ট্রেন পরিচালনায় প্রয়োজন মতো কর্মীদের কাজে আনা হচ্ছে। এদের মধ্যে হাওড়া ও হুগলির কাছাকাছি কর্মীরাই বেশি। ফলে সমস্যা দেখা দেবে। বৃহস্পতিবারই বোঝা যাবে সমস্যা কতটা হচ্ছে। তবে সামাল দিতে ব্যবস্থা শুরু গেছে। অপারেশন, কমার্শিয়াল বিভাগগুলি কর্মীদের বাসস্থানের খোঁজ নিচ্ছেন। বিকল্প কর্মীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। যাঁরা মূলত হাওড়া, শিয়ালদহের আশপাশে থাকে এবং কাজে যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের ডেকে পাঠানো হবে। হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় পঞ্চান্নটির মতো লোকাল ট্রেন চলছে রেল কর্মীদের জন্য। এছাড়া স্পেশ্যাল ট্রেনও চলছে। তাতে যাতে প্রভাব না পড়ে সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রেল।”
উল্লেখ্য, আনলকের দ্বিতীয় পর্যায়ের শুরু থেকেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। বুধবার রাজ্যে সংক্রমণের নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে। একলাফে ২৪ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে ফের সাতদিনের জন্য রাজ্যে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হচ্ছে। তবে রাজ্যের সর্বত্র নয়। বিভিন্ন জেলার কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে (Containment Zone) কড়াকড়িভাবে লকডাউন পালন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বড় এলাকা নয়, বরং বাড়ির ঠিকানা ও রাস্তার নাম ধরে ধরে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। সেই মতো বুধবার সন্ধেয় এগিয়ে বাংলা ওয়েবসাইটে কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.