Advertisement
Advertisement

চুরি-ছিনতাইয়ের চেয়ে পদপিষ্টের চিন্তাই নিরাপত্তার মূল বিষয় কালীপুজো ও ছটে

এদিকে, সাঁতরাগাছিতে রেলের সান্টারকে সিগারেট খেতে দেখে বিক্ষোভ দেখায় জনতা।

Indian Railways fears stampede on Kalipuja and Chhat
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:October 26, 2018 8:19 pm
  • Updated:October 26, 2018 8:19 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাঁতরাগাছির দুর্ঘটনা নয়া মোড় ঘোরাল রেলে। আসন্ন কালীপুজো ও ছটপুজোর ভিড়ে চুরি, ছিনতাইয়ের চেয়ে পদপিষ্টের বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াল। আশঙ্কার বিষয় সেটাই। শুক্রবার হাওড়া রেল পুলিশ রেলকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, সামনেই কালীপুজো ও ছটপুজো। সেই উপলক্ষে হাওড়ায় বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডগামী ট্রেনগুলিতে অস্বাভাবিক ভিড় হবে। হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সের সঙ্গে ওল্ড কমপ্লেক্সের সংযোগকারী ফুট ওভারব্রিজ ও কারশেডে কুকুরভুক্কা ব্রিজটি কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখার জন্য। পাশাপাশি দরকারে তা চওড়া করা হোক এমন আবেদন জানিয়েছে রেল পুলিশ। শুক্রবার আরপিএফ, জিআরপি ও জেলা পুলিশের এক বৈঠক হয়। যাতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডগামী ট্রেনগুলির সাধারণ কামরায় যৌথবাহিনী নজরদারি করবে। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেটাই এবার বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ভিড়ের চাপ কমাতে অন্য ট্রেনেও যাত্রীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা হবে। যাত্রীদের সচেতন করতে হিন্দি ভাষায় ট্রেনে প্রচার চালাবে নিরাপত্তারক্ষীরা।

[সাঁতরাগাছি কাণ্ড থেকে শিক্ষা, জানুয়ারিতে নয়া ফুটব্রিজ তৈরির আশ্বাস রেলের]

Advertisement

এদিকে সাঁতরাগাছি থেকে জনতার রেশ সরছে না। শুক্রবার পূর্ব রেলের হাওড়ার সান্টার কৌশিক ধর আন্দুলে বাড়িতে ফিরছিলেন। সাঁতরাগাছিতে ট্রেন থেকে নেমে সিগারেট খাচ্ছিলেন। যাত্রীরা এই দৃশ্য দেখে রে রে করে তেড়ে এলে কৌশিক একটি মেদিনীপুর লোকালের গার্ডের কামরায় উঠে পড়েন। যাত্রীদের উদ্দেশে গালিগালাজ শুরু করলে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেনটি অবরোধ করেন। স্টেশন মাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ করেন। এদিকে শুক্রবারই সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসের দিকে একটি বাড়তি বুকিং কাউন্টার খোলা হয়। নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে। এদিকে নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পরই আইন লঙ্ঘনের নামে বেশি সংখ্যক যাত্রীকে ধরপাকড় করছে আরপিএফ ও জিআরপি। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে আইনভঙ্গকারীর প্রকৃত দোষ লক্ষ করেই তবে আইনের পথ নেওয়া উচিত বলে মনে করেছেন রেল কর্তারা। আসানসোলের ডিআরএম পি কে মিশ্র বলেন, নিরাপত্তায় গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, গ্রেপ্তার করাটা যেন বাণিজ্যের পর্যায়ে না চলে যায়।

[প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ফুট ওভারব্রিজ পারাপার, ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement