Advertisement
Advertisement
শেওড়াফুলি স্টেশন

শেওড়াফুলি স্টেশনে যাত্রীমৃত্যুতে দায়ী লাইন ঘেঁষা আবাসন, ভেঙে ফেলার ভাবনা রেলের

রেল পুলিশের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই আবাসন ভাঙার ভাবনা কর্তৃপক্ষের।

Indian railway decided to destroy a building near seoraphuli station
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 6, 2019 7:41 pm
  • Updated:November 6, 2019 7:41 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু। আর চলতি বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৯জন। আর এই ঘটনায় নিত্যযাত্রীরা সরাসরি দায়ী করছেন শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছের ‘ঘাতক আবাসন’কে। রেললাইনের একেবারে ধার ঘেঁষে থাকা এই আবাসনই প্রাণ কাড়ছে যাত্রীদের। কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনার পরেও রেল কেন উদাসীন? সেই প্রশ্নটা তুলেছেন যাত্রীরা।

শেওড়াফুলি স্টেশনের কেবিনের ধারে লাইন ঘেঁষেই রয়েছে দোতলা রেলওয়ে কোয়ার্টার্স। ট্রেন যাওয়ার সময় কোনও যাত্রীর দেহাংশ বাইরে থাকলে এই কোয়াটার্স বা আবাসনে ধাক্কা লাগবেই বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। রেললাইনের ধারে একেবারে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এই আবাসন। পাশেই রয়েছে হাইটেনশন বিদ্যুতের খুঁটি। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে গিয়ে এই আবাসনে ধাক্কা লেগেই মৃত্যু হয় তিন ব্যক্তির। সোমবার রাতে মারা যান সুবীর কুণ্ডু (২৪) ও ভিকি সিং (২৫)। মঙ্গলবার প্রায় একইসময়ে মৃত্যু হয় শেখ মারফুল (৩১) নামে এক যুবকের। আবাসনের দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে রেললাইনে পড়ে মৃত্যু হয় যাত্রীদের। কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনার পরেও রেলের কেন হুঁশ ফিরছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। দোতলা এই কোয়ার্টার্সের উপরতলা ফাঁকা, নিচতলায় আবাসিকরা থাকেন। কেবিন ঘেঁষা এই আবাসনই সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে। এক বছরে নয়জন মানুষের মৃত্যু পরও রেল কেন ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।

[আরও পড়ুন: স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনেই রেগে আগুন, প্রথম স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে শ্রীঘরে ‘গুণধর’]

হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, ওই আবাসনটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগে আবাসনের বাসিন্দাদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হবে। তারপরই আবাসনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ, বুধবার রেল পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে হাওড়ার এডিআরএমের বৈঠক রয়েছে। সেখানে শেওড়াফুলিতে ক্রমাগত দুর্ঘটনা ও ‘ঘাতক’ আবাসনটির বিষয়ে আলোচনা হয়। রেল পুলিশ আবাসনটিকে বিপজ্জনক ও মৃতু্যর কারণ বলে জানিয়েছে। রেলকর্তারা আবাসনটি ভাঙার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে যতক্ষণ না তা কার্যকর হচ্ছে, ততক্ষণ এই বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এখন এলএইচবির মতো চওড়া কোচ হওয়ায় ফাঁকা জায়গার ব্যবধান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল বোর্ড। তবে আবাসনটি বহু পুরনো হওয়ায় সেই ব্যবধান আরও সংকীর্ণ হয়েছে । ফলে বেড়েছে বিপদ। এদিকে চন্দননগরের পুজো দেখতে লক্ষাধিক মানুষ ট্রেনে সওয়ার হবেন। তাই শেওড়াফুলি স্টেশনে সোম ও মঙ্গলবারের পর আর যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে রেল। নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। শেওড়াফুলি স্টেশনে মাইকে যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে। নজর রাখছে আরপিএফ। এমনকী আপ ট্রেনের গতি ওই এলাকায় কম রাখা হচ্ছে সতর্কতা রক্ষায়।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement