অর্ক দে, বর্ধমান: বন্ধ খামেই মিষ্টিবিলাস। এবার ঘরে বসে চিঠি হাতে নিয়েই মনে পড়ে যেতে পারে বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ (Sitabhog), মিহিদানার কথা। কীভাবে বুঝতে পারছেন না, তাই তো? হেঁয়ালি ছেড়ে তাহলে চলুন আসল কথা জেনে নেওয়া যাক।
ডাকটিকিটে বাংলার সীতাভোগ ও মিহিদানা (Mihidana)। শুক্রবার ভারতীয় ডাকবিভাগের উদ্যোগে দু’টি বিশেষ কভার প্রকাশ করা হয়। বর্ধমান সদর পোস্ট অফিস থেকে এই বিশেষ কভার প্রকাশ করেন দক্ষিণবঙ্গের পোস্টমাস্টার জেনারেল শশী এস কুজুর। শতাব্দী প্রাচীন এই দুই মিষ্টির জনপ্রিয়তা বাড়াতেই কেন্দ্রের কভার প্রকাশের উদ্যোগ বলেই জানিয়েছেন তিনি। দাবি, কভারের মাধ্যমে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সীতাভোগ, মিহিদানা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কেন্দ্রের এই উদ্যোগে খুশি মিষ্টি বিক্রেতারা। বর্ধমান (Burdwan) সীতাভোগ ও মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবোধ কুমার সিং বলেন, “ডাক বিভাগের কভার উদ্বোধনের মাধ্যমে বর্ধমানের এই দুই মিষ্টি সরকারি স্বীকৃতি পেল। সীতাভোগ ও মিহিদানার সুনাম আরও ছড়িয়ে পড়বে। আগামী প্রজন্মের কাছেও তা বজায় থাকবে।” উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগেই জিআই তকমা পেয়েছিল সীতাভোগ ও মিহিদানা।
ইতিহাস বলছে, ১৯০৫ সালে বর্ধমানে লর্ড কার্জনের আপ্যায়নের জন্য তৎকালীন বর্ধমানের রাজা মহতাব চন্দের আমলে ক্ষেত্রনাথ নাগ এই দুই বিশেষ মিষ্টি তৈরি করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে সীতাভোগ ও মিহিদানা জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্ধমানে তৈরি এই বিশেষ ধরনের মিষ্টির সরকারি স্বীকৃতির জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রস্তুতকারকরা। শেষমেশ ২০১৭ সালে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ অর্থাৎ জিআই তকমা (GI Tag) মেলে। দমদম বিমানবন্দরের বিশ্ব বাংলা শোরুমে বাংলার সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে মিহিদানাকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে ডাকবিভাগের এই উদ্যোগে বর্ধমানের মিষ্টির বিশ্বের দরবারে পরিচিতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.