অর্ণব আইচ: সুন্দরবন ও রাজ্যের সমুদ্রতটের নিরাপত্তায় এবার সাগরে নৌঘাঁটি তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে নৌসেনা। তার জন্য সম্প্রতি পরিবেশ মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, এই ঘাঁটি নির্মাণের জন্য কপিলমুনির আশ্রম থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে নৌসেনাকে ১১ একর জমি দিয়েছে রাজ্য।
[দুষ্টুমি করা নেতাদের সরিয়ে দিয়েছি, কেশিয়াড়ির সভায় বললেন মমতা]
জানা গিয়েছে, তটের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এবার সমুদ্রের মোহানা ও সংলগ্ন নদীতে ভেসে বেড়ানো দেশি নৌকাগুলির উপরও জিপিএস-এর মাধ্যমে এবার নজরদারি চালাতে চায় নৌসেনা। তাই সুন্দরবনের তট-সহ সারা দেশের জন্য বিশেষ সস্তার ট্রান্সপনডার তৈরি করছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। নৌসেনা সূত্রে খবর, রাজ্যের ৭০ শতাংশ মাছ ধরার ট্রলারে ট্রান্সপনডার যন্ত্র রয়েছে, যার মাধ্যমে ওই যানের গতিবিধি জানা সম্ভব। কিন্তু এখনও বহু ট্রলার বা জলযানের মালিক ট্রান্সপডার বসাতে রাজি হন না। ইসরো একটি ট্রান্সপনডার বানিয়েছে, যার দাম হাজার ছয়েকের মধ্যেই। আপাতত তামিলনাড়ুর প্রতিটি জলযানে এই ট্রান্সপনডার বসানো হয়েছে। এবার সারা দেশের তটেই তা চালু করতে চায় নৌসেনা। ছোট নৌকা থেকে শুরু করে বড় জলযান বা ট্রলার, প্রত্যেকটিতেই থাকবে এই যন্ত্র।
[বিয়েতে আপত্তি পরিবারের, ফেসবুক পোস্ট দিয়ে আত্মঘাতী যুগল]
রাজ্যের নৌসেনা কর্তা সুপ্রভ দে জানিয়েছেন, এবার গঙ্গাসাগরে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নৌসেনার ডুবুরিদের একটি বিশেষ টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। তটের নিরাপত্তার জন্য সাগরে এই নৌসেনা ঘাঁটি থেকেই চালানো হবে নজরদারিও। এই ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হবে নৌসেনার মোবাইল ইউনিটকে। তাতে থাকবে ‘ব্রহ্মস’-এর মতো মিসাইল। প্রয়োজনে এই ঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই বা শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করাও যাবে। প্রয়োজন মতো এই মোবাইল ইউনিটকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে মুড়িগঙ্গায় সেতু তৈরি হলেই এই ঘাঁটি তৈরি আরও সহজ হবে বলে জানিয়েছে নৌসেনা আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.