বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফ্ল্যাট নয়, পরিবর্তে দেওয়া হোক বিকল্প জায়গা। এই দাবিতে কোচবিহারের জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে শামিল সাবেক ছিটমহলবাসীদের একাংশ। জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের। বুধবার সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় জেলাশাসকের দপ্তর লাগোয়া এলাকা।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই নতুন ভোরের সাক্ষী হন ছিটমহলের বাসিন্দারা। মোট ২০১টি পরিবার পায় ভারতীয় নাগরিকত্ব। তারপর থেকে কোচবিহারের হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ, দিনহাটার অস্থায়ী ক্যাম্পেই দিন কাটাচ্ছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বসবাসের বন্দোবস্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হলদিবাড়িতে ইতিমধ্যেই একটি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ এবং দিনহাটাতেও চলছে আরও দু’টি ফ্ল্যাট তৈরির কাজ এখনও চলছে।
এই পরিস্থিতিতে দিনকয়েক আগে কোচবিহার জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাসমেলার মাঠেও যান তিনি। সেখানে একটি জনসভাও করেন। ওই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকজনের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেন। বেশ কয়েকজন ফ্ল্যাটের চাবি হাতে নেন। পরেরদিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিদের ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে চাবি নিতে রাজি হননি কেউই। সাবেক ছিটমহলবাসীদের দাবি, ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়া হচ্ছে ঠিকই। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না কোনও কাগজপত্র। তাই মালিকানা আদৌ তাঁরা পাচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাঁদের আরও দাবি, শুধুমাত্র ফ্ল্যাটের চাবি নয়। পরিবর্তে অন্য কোনও ফাঁকা জায়গা দিতে হবে। কারণ, শুধু বাসস্থানই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কর্মসংস্থানেরও। এমনই একাধিক দাবিতেই ফ্ল্যাটের চাবি নিতে অস্বীকার করেন তাঁরা।
ফ্ল্যাটের চাবি নিতে অস্বীকার করা সাবেক ছিটমহলবাসীরা বুধবার কোচবিহারের জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে জড়ো হন। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। জেলাশাসকের হাতে একাধিক দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.