টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কারামন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দপ্তর। সেই নোটিস পাঠানোর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই আয়কর দপ্তরের নজরে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক তন্ময় ঘোষের দপ্তর, মদের দোকান ও চালকলে হানা দিল আয়কর দপ্তর। বুধবার বেলা থেকেই দুজায়গায় টানা তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর আধিকারিকরা। দুটি এলাকাই ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের মদের দোকান, বার এবং চালকের মালিক। এদিন সকালে প্রথমে তাঁর বাড়ি, দপ্তর এবং মদের দোকানে হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। এর পর চূড়ামণিপুরের চালকলেও শুরু হয় তল্লাশি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দপ্তর, মদের দোকান এবং চালকল ঘিরে রেখেছে। চালকলের আয়ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সমস্ত ফাইল খতিয়ে দেখছে ৭-৮ জনের একটি দল। মদের দোকানের লেদার বুকও পরীক্ষা করে দেখছেন আয়কর দপ্তরের কর্তারা। জানা গিয়েছে, বিধায়ক কলকাতায় রয়েছেন। সূত্রের খবর, বিধায়কের চালকলে রেশনের প্রচুর সামগ্রী রাখা থাকে বলে খবর।
এই তল্লাশি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তন্ময় ঘোষ তো চোর। দেখলাম বিধানসভায় ছিলেন, হঠাৎ করে বাড়ি চলে গেলেন। শুনলাম. ওঁর বাড়িতে চালকলে আয়কর হানা হয়েছে।” উল্লেখ্য, অখিল গিরিকে আয়কর নোটিস পাঠানো হতে পারে, একথা আগেই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর নোটিস পাঠায় আয়কর দপ্তর। ফলে তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, শুভেন্দুর কথাতেই আয়কর দপ্তর কাজ করছে।
তন্ময় ঘোষের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “বিজেপিতে যতদিন ছিলেন তখন চালকল, গমকলে আয়কর হানা হত না। তৃণমূলে আসার পরই এসব হচ্ছে। আসলে বিজেপি ভয়ে কাঁপছে। ওরা জানে, আরও কয়েকজন বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছে।” উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তন্ময় ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.