Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বনির্ভর গোষ্ঠী

স্বমহিমায় বলিয়ান হয়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন পুরুলিয়ার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর

ভবিষ্যতে আরও মহিলাদের নিযুক্ত করতে চায় এই গোষ্ঠীগুলি।

In Purulia Woman empowered Themsemselves through self help group
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 24, 2020 5:37 pm
  • Updated:February 24, 2020 8:23 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মহিলাদের জীবনে প্রগতি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে নজর কেড়েছে পুরুলিয়ার ৩ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। নারী দিবসের (Woman`s Day) প্রাক্কালে ৭ মার্চ নিউ দিল্লির প্লেনারি মঞ্চ থেকে তাদের সম্মানিত করবে কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। দেশের বিভিন্ন রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে মোট ৪০টি গোষ্ঠীকে পুরস্কৃত করবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। তবে বাংলার এই তিনটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর ৩৭টি গোষ্ঠীকেও ওই জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হবে। এই তিনটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি হল পুরুলিয়ার আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সংঘ সমবায় সমিতি ও বাকি দুটি হল দার্জিলিংয়ের স্বনির্ভর দল প্রগতিশীল মহিলা সমিতি ও জয় ভবানী।

Advertisement

২০০৮ সাল থেকে পুরুলিয়ার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে পথ চলা শুরু করে এই আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর। এই স্বনির্ভর সংঘ সমবায় সমিতির অধীনে মোট ২৫১টি স্বনির্ভর দল রয়েছে। তাদের মধ্য়ে কেউ সবজি বা ধান চাষ,কেউ বা হাঁস–মুরগি, ছাগল পালন করে। এমনকি কেউ ক্যান্টিনও চালায়। শুধু গ্রামের মহিলাদের সুংসহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে শিশুদের পুষ্টিকরণে “মর্ণিং স্ন্যাক্স” (Morning Snacks) হিসাবে পুষ্টিকর লাড্ডু বানায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাফল্য কেড়ে নেন তারা। তাদের হাত ধরে মহিলারা সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি করে সংসারের হাল ফিরিয়েছেন। স্বনির্ভর হতে গিয়ে তারা কীভাবে লড়াই করলেন? আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ সন্ধ্যা কুইরি বলেন, “এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য আমাদের দিনরাত এক করতে হয়েছে। পারতেই হবে, কিছু করে দেখাতে হবে এটা মনে করেই এগিয়েছি আমরা। অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে শুধু এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম।”

[আরও পড়ুন:লোহা পাচারে বাধা দেওয়ায় কলেজ পড়ুয়াকে লক্ষ্য করে গুলি, উত্তপ্ত শ্যামনগর]

আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সংঘের ২৫১টা দল তৈরিই হল কিভাবে? প্রশ্ন করায় সমিতির মহিলারা জানান, ” আগে বাড়িতে আমরা সারাদিন পরিশ্রম করতাম, সেই পরিশ্রমে সংসার চলে ঠিকই। কিন্তু আমাদের কোন আয় হত না। সংসারে আর্থিক সাহায্য না করায় আমাদের মতামতের দামও ছিল না এই জেদই আমাদের এগিয়ে দিয়েছে। এই বিষয়টি প্রচার করেই আমরা এক একটা দল বাড়িয়েছি।” আজ সংসার চালাতে তাদের বাড়ির পুরুষদের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। পুরুষদের সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে তারাও সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। আর্থিক সাহায্য করেন পরিবারকে। আনন্দময়ী মহিলা স্বনির্ভর সংঘের ২৫১টি দলের প্রায় তিন হাজার মহিলারা আজ স্বনির্ভর। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার স্বনির্ভর সংঘের প্রশংসা করে জানান, ” নিজেদের পরিশ্রমের ওপর ভর করে তারা অসামান্য সাফল্য পায়। এই স্বনির্ভর সংঘ সমবায় সমিতি দেখাল কিভাবে উপভোক্তা থেকে উদ্যোগপতি হওয়া যায়।” তবে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরও বৃহদাকারে পরিণত করার চেষ্ঠা করতে আশাবাদী তারা।

ছবি: অমিতলাল সিং দেও 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement