Advertisement
Advertisement
জলে ডুবে মৃত

স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত ৪ পড়ুয়া! শোকের ছায়া নদিয়ার তাহেরপুরে

সাঁতার না জেনেই জলে নামে পড়ুয়ারা: স্থানীয়

In Nadia 4 School students died in pond by sinking
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 9, 2020 9:41 pm
  • Updated:March 9, 2020 9:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোলের উৎসবে বিষাদের ছায়া নদিয়ার তাহেরপুরে। দোল খেলে স্নান করতে নেমে পুকুরে তলিয়ে গেল চার পড়ুয়া। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা চিকিৎসকের। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

সকাল থেকেই দোল উৎসবে মাতোয়ারা ছিল নদিয়ার তাহেরপুরের কামালডাঙ্গার ছয় স্কুল পড়ুয়া। বাড়ির বড়দের অলক্ষ্যে গ্রামের এক পুকুর পাড়ে গিয়ে রং খেলছিল তারা। এরপর তাদের মধ্যে চার জন পুকুরে নেমে স্নান করতে গেলে জলে তলিয়ে যায়। অনেকক্ষণ এইভাবে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করার পর তার জল থেকে না উঠলে বাকি দুই পড়ুয়া বাড়ি ফিরে যায়। তারাই গিয়ে তাদের বাড়ির লোকেদের ঘটনার কথা জানায়। অন্যদিকে সকাল থেকেই সন্তানদের কোনও খোঁজ না পেয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তাদের পরিজনেরা। এরপর দুপুর থেকেই শুরু হয় তাদের খোঁজ। খোঁজ করতে গিয়ে গ্রামের সেই পুকুর পাড়ে এসে একটি গামছা খুঁজে পাওয়া যায়। তা দেখেই নিখোঁজ পড়ুয়াদের বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়। তারা পুকুরে নেমে খোঁজ শুরু করলে শুভ হালদার নামে এক কিশোরের দেহ ভেসে ওঠে। তাকে উদ্ধার করে তারা আরমঘাটা সবদলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই পুকুরে খোঁজ চালিয়ে আরও তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদেরও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত স্কুল পড়ুয়াদের পরিজনেরা জানান, মৃত পড়ুয়াদের সকলেরই বয়স ১১ থেকে ১৪-র মধ্যে। মৃত পড়ুয়াদের মধ্যে সানি প্রামাণিক, নেহা প্রামাণিক একই পরিবারের। জলে ডুবে আরেক মৃত পড়ুয়ার নাম হল রাখি হালদার। মৃত পড়ুয়াদের কেউই সাঁতার জানত না বলে দাবি করেন মৃতের পরিজনেরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বসন্তের রঙে পর্যটকের ঢল পুরুলিয়ায়, ভিড় সামলাতে হিমশিম রিসর্টগুলি]

দোলের এই আনন্দের দিনে পড়ুয়াদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। তবে একটু নজরদারি করলেই হয়তো সন্তানদের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন তাদের পরিজনেরা, জানান স্থানীয়রা। সন্তানদের হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের সকলেই

[আরও পড়ুন:রাজ পরিবারের প্রথা, ঐতিহ্য মেনে দোলে আজও বেরঙিন বর্ধমান শহর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement